Santosh Trophy 2024: সন্তোষের ফাইনালে বাংলার জয়-জয়কার! শেষ ৬ বছরের অপেক্ষা, কেরালাকে হারাল সঞ্জয়ের শিষ্যরা...
Santosh Trophy 2024: সন্তোষ ট্রফিতে শেষবার বাংলার সাফল্য এসেছিল ২০১৬-১৭ সালে। তারপর থেকে শুধুই ব্যর্থতা। গত কয়েক বছর ধরে সেই বাংলা সন্তোষ থেকে ফিরেছে শূন্য হাতে। দুবার ফাইনালেও হারতে হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বছরের শেষ দিনেও জয়-জয়কার বাংলার। মঙ্গলবার শক্তিশালী কেরালাকে হারিয়ে ৩৩তম ট্রফি তুলল বাংলা। ছ’বছর পর সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল বাংলা। ২০১৭-১৮ এবং ২০২১-২২ মরসুমে এই সন্তোষ ট্রফি ফাইনালে কেরালার কাছে হেরে গিয়েছিল বাংলা। দু'বারই টাইব্রেকারে হারতে হয় বাংলাকে। আজকের ম্যাচেও ঠিক একই দিকে যাচ্ছিল বাংলা। কিন্তু অবশেষে সঞ্জয় সেনের দলের পক্ষ থেকে ৯০+৪ মিনিটে রবি হাঁসদার।
জয়ের পর অভিনন্দন জানান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, 'বঙ্গ আবারও ইতিহাসে নিজের নাম লিখিয়েছে, ৩৩ তম বার সন্তোষ ট্রফি জিতে, কেরালাকে কঠিন ফাইনালে ১-০ গোলে পরাজিত করে। এই জয়টি আমার জন্য ব্যক্তিগত কারণেও বিশেষ, কারণ ডায়মন্ডহারবার ফুটবল ক্লাব (DHFC)-এর ৬ জন খেলোয়াড় – নারো হরি শ্রেষ্ঠ, রবিলাল মাণ্ডি, অয়ন মণ্ডল, সুপ্রিয়া পণ্ডিত, বিশাল দাস এবং সুভ্রদীপ হাজরা – এই দলের অংশ ছিলেন, যাদের মধ্যে ৪ জন আজকের ম্যাচে খেলেছেন। এটি আমার প্রচেষ্টারই ফল, যাতে আমাদের খেলোয়াড়রা নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করার সুযোগ পায়, এবং তাদের জাতীয় মঞ্চে উজ্জ্বল হতে দেখে, রাজ্যের জন্য সম্মান অর্জন করতে দেখে খুবই তৃপ্তি অনুভব করি। এই অসাধারণ অর্জন সম্ভব করার জন্য কোচ সঞ্জয় সেন, ব্যবস্থাপনা, পুরো কোচিং এবং প্রশিক্ষণ স্টাফদের অন্তর থেকে অভিনন্দন।'
আরও পড়ুন: EXPLAINED | Virat Kohli: 'কিং ইজ নো মোর!' কেরিয়ারের জঘন্যতম বছর কি?
সন্তোষ ট্রফিতে শেষবার বাংলার সাফল্য এসেছিল ২০১৬-১৭ সালে। তারপর থেকে শুধুই ব্যর্থতা। গত কয়েক বছর ধরে সেই বাংলা সন্তোষ থেকে ফিরেছে শূন্য হাতে। দুবার ফাইনালেও হারতে হয়েছে। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস তিনি জানান, 'দীর্ঘ ৬ বছর পর সন্তোষ ট্রফি জিতল বাংলা। ৭৮তম সন্তোষ ট্রফিতে কেরালার মত শক্তিশালী দলকে হারিয়ে এই নিয়ে ৩৩ বার ভারত সেরা হল বাংলা। সঞ্জয় সেনের অসামান্য কোচিং এবং চাকু মান্ডির অধিনায়কত্বে বাংলার ফুটবলারদের অনবদ্য পারফরমেন্সের ফলেই এই জয়। বাংলা দলের কোচ, ফুটবলার ও কর্মকর্তাদের জানাই শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন বাংলাকে আবার ভারত সেরা করার জন্য। জয় বাংলা।'
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা ফুটবল টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, '৮ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর, বঙ্গ ফুটবল ২০২৫ সাল শুরু করেছে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত দিয়ে, পুনরুদ্ধার করেছে প্রখ্যাত সন্তোষ ট্রফি, যা ৩৩ তম বার জিতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে! এই অসাধারণ জয়টি অর্জিত হয়েছে রবি হাঁসদার দুর্দান্ত এক গোলের মাধ্যমে, যিনি ১৩ গোল করে গোল্ডেন বুটও জয় করেছেন। কোচ সঞ্জয় সেন, অধিনায়ক চাকু মাণ্ডি, পুরো দল, এবং ব্যবস্থাপনা, কোচিং ও প্রশিক্ষণ স্টাফদের এই ঐতিহাসিক অর্জনের জন্য জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। বাংলা আজও ভারতীয় ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে উজ্জ্বল। আরও বহু গৌরবময় মুহূর্তের আশা রইল!' তবে গত মরশুমে বাংলাকে বিদায় নিতে হয়েছে, একেবারে প্রাথমিক রাউন্ড থেকেই। অবশেষে সমস্ত প্রতীক্ষার অবসান। হায়দরাবাদের গাচ্চিবৌলি স্টেডিয়ামে আক্রমণাত্মক মুডে ছিল বাংলা। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে ম্যাচের নায়ক সেই রবি হাঁসদা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)