''Kashmir দখল করেই ভারতে আক্রমণ করব", Shoaib Akhtar-এর বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড়
শোয়েবকে মৌলবাদী বলেও আক্রমণ করেছেন অনেকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- তিনি শিক্ষিত মানুষ। তবুও তিনিই কি না এমন অশিক্ষার অন্ধকারে ডুবে রয়েছেন! তাঁর মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার আদতে এমন মনোভাব পুষে রাখেন! এই ব্যাপারটাই অবাক করেছে নেটিজেনদের। শোয়েব আখতার কিনা ‘গাজওয়া-এ- হিন্দ’ এর মতো অলীক কল্পনায় বিশ্বাস করেন! শোয়েব আখতারের একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘আমাদের প্রাচীন সাহিত্যে ‘গাজওয়া-এ- হিন্দ’ এর উল্লেখ রয়েছে। এই স্বপ্ন একদিন সত্যি হবে। সেটাই আমাদের সাহিত্যে উল্লেখ করা হয়েছে। যেদিন আমরা সেটা করতে পারব, সেদিন দুবার রক্তে লাল হয়ে উঠবে অ্যাটক নদীর জল। আফগানিস্তান থেকে সৈনিকরা অ্যাটকে পৌঁছবে। উজবেকিস্তান ও আরব থেকেও সেনারা আসবে। মুসলিমরা কাশ্মীর দখল করবে আগে। তারপর আক্রমণ করবে ভারতে।’’
ভারত ও ভারতীয় ক্রিকেটারদের ব্যাপারে সব সময়ই ভাল ভাল কথা বলতে শোনা যায় আখতারের মুখে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তা হলে কি সবটাই দেখনদারি! আসলে তিনি মনে মনে অন্য ভাবনা পুষে রাখেন! শোয়েবকে মৌলবাদী বলেও আক্রমণ করেছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার বলেছেন, শোয়েব আখতারের দেশের মানুষ জঙ্গিদের মদত করতে গিয়ে নিজেদের মানসিকভাবেও অসুস্থ করে তুলেছে। শোয়েব আখতার দাবি করেছেন, আজ হোক বা কাল, ভারতের দখল একদিন ইসলামিক শক্তি নিয়ে নেবে। এমনকী সেদিন ভারতীয়দের রক্ত ঝরবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন পাক পেসার।
আরও পড়ুন- BCCI-র AGM: পুরুষদের সিনিয়র দলের নির্বাচক কমিটির তিন সদস্যের নাম ঘোষণা
"Ghazwa e Hind is mentioned in our sacred books. We will first capture Kashmir and then invade India from all sides for Ghazwa e Hind"
- Shoaib Akhtar (descendant of a Hindu Gujjar)
After all cricket & art have no boundaries. After Ghazwa e Hind, India will have no boundaries! pic.twitter.com/sRlYml6xow
— Pakistan Untold (@pakistan_untold) December 18, 2020
পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অনেকেই অনেক সময় ভারত সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। তবে অনেক পাক ক্রিকেটার আবার ভারতীয় তারকাদের সঙ্গে সুসম্পর্কও বজায় রেখেছেন। তবে শোয়েব আখতার Ghazwa-e-Hind-এর প্রসঙ্গ তোলায় যেন আসল ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আসলে যে স্বার্থের জন্যই ভারতীয় তারকাদের সঙ্গে পাক ক্রিকেটাররা সুসম্পর্ক বজায় রাখেন, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।