ধোনিদেরও কি ব্যাটিং কোচ দরকার?
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অফিসিয়াল সাইটে গেলেই বিজ্ঞাপনটা চোখে পড়ছে। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ব্যাটিং কোচ নিয়োগ করতে চলেছে পাকিস্তান। আর তাই পিসিবি`র ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে ব্যাটিং কোচ খোঁজার বিজ্ঞাপন। আর এতেই উঠছে প্রশ্ন।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অফিসিয়াল সাইটে গেলেই বিজ্ঞাপনটা চোখে পড়ছে। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ব্যাটিং কোচ নিয়োগ করতে চলেছে পাকিস্তান। আর তাই পিসিবি`র ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে ব্যাটিং কোচ খোঁজার বিজ্ঞাপন। আর এতেই উঠছে প্রশ্ন।
অস্ট্রেলিয়া (জাস্টিন ল্যাঙ্গার) শ্রীলঙ্কা (মার্ভান আত্তাপাত্তু), নিউজিল্যান্ড (বব কার্টার), ইংল্যান্ড (অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার)-এর মত দেশেরা কিন্তু অনেক আগে থেকেই ব্যাটিং কোচ আছে। বিদেশের মাঠে টানা আটটা টেস্টে হারই হোক বা টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ লিগ থেকে বিদায় কাঠগড়ায় উঠছে ধোনিদের ব্যাটিংই। অথচ ভারতের আলাদা করে ফিল্ডিং, বোলিং কোচ থাকলেইও নেই কোনও ব্যাটিং কোচ। গ্যারি কার্স্টেনের আমলে যে প্রশ্নটা ওঠেই নি, সেটাই উঠছে ডানকান ফ্লেচারের সময়।
ভারতীয় ক্রিকেটাররা বিশেষ করে রায়না, রোহিত শর্মারা তো আড়ালে আবডালে বলছেন ব্যাটিংয়ে কোনও সমস্যা হলে তারা সেভাবে কোনও সাহায্য পাচ্ছেন না। সচিন দলে না থাকলে সমস্যা আরও বাড়ছে। অনেকেই বলেন ফ্লেচার ভাল কৌশলী, কিন্তু টেকনিকাল দিকটা নিয়ে অতটা ভাবেন না। নাসের-ভনদের আমলে ইংল্যান্ড ক্রিকেট ফ্লেচারের সাফল্য এসেছে ভাল কৌশলি হিসাবে। কিন্তু এই মুহূর্তে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা ছোটখাট টেকনিক সমস্যায় ভূগছেন। অথচ কোচ সেসবের বদলে স্ট্রাটেজি নিয়েই বেশি সময় ব্যয় করেন। কার্স্টেন কিন্তু ঠিক উল্টোটাই করতেন। স্ট্রাটেজির থেকে নেটেই বেশি সময় দিতেন।
এই যে কোহলির এই স্বপ্নের ফর্ম তার পিছনে নাকি কার্স্টেনের ছোটখাট টিপস অনেকটাই সাহায্য করেছে। এমন কথাই বলছেন ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িতরা। তাই এখন আলাদা করে ব্যাটিং কোচের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন ভারতের তরুণ ক্রিকেটাররাই। তবে বিশ্বের ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা বোর্ড আলাদা করে ব্যাটিং কোচ রাখাটাকে অর্থের অপচয় বলে মনে করেন। তাঁদের যুক্তি সব কিছুর জন্যই যদি আলাদা করে কোচ নিয়োগ করা হয় তাহলে আর এত টাকা খরচ করে ফ্লেচারকে আনা কেন!