'দ্য আগলি ডাকলিং টার্নড ইনটু আ বিউটিফুল ওয়ান!'
স্বরূপ দত্ত
ওয়েব ডেস্ক: প্রথমবার ইউরোপ সেরা পর্তুগাল। প্রথমবার বিশ্বফুটবলের কোনও বড় আসরে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিল বীর জাতির ফুটবলাররা। ফুটবল দলগত খেলা। তবু, সেই খেলাতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও একটু বেশি আলো পান কেউ কেউ। এই যেমন পর্তুগালের জয়ের জন্য সবথেকে বেশি নাচানাচি হচ্ছে রোনাল্ডোকে নিয়ে। তেমনই উঠে আসছে রেনাটো স্যাঞ্চেসের নাম। ওইটুকু ছেলে দেশকে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন করেছেন বলে! রিকার্ডো কার্ভালহো থেকে নানি, ফ্ল্যাশবাল্বের ঝলকানি রয়েছে তাঁদের জন্যও। কিন্তু ভুললে চলবে না, ফুটবলে জয় আর হার হয় গোলের বিচারে। আর ম্যাচে হয়েছে একটাই গোল। আর সেই গোলটাই করেছেন এডের। কৃষ্ণকায় এই ফুটবলারই আলো এনে দিয়েছেন দেশের মানুষের মনে! তাই আজ এক ঝলকে জেনে নিন এডেরকে।
১) এডেরের পুরো নাম এডেরজিটো অ্যান্টোনিও মাসেডো লোপেস। ২৮ বছর বয়সী এই ফুটবলারের জন্ম হয়েছিল বিসাউতে।
২) এখন তিনি ক্লাব ফুটবলে খেলেন লিলিতে। গত মরশুমে অবশ্য খেলেছিলেন ইংলিশ প্রিমিয়র লিগে সোয়াইন সিটির হয়ে। কিন্তু ১৩ ম্যাচ খেলে কোনও গোল করতে পারেননি।
৩) এডের হলেন এই পর্তুগাল দলের পঞ্চম ফুটবলার, যাঁর জন্ম পর্তুগালে নয়! এডের ছাড়া বাকি চারজন হলেন, পেপে, নানি, ডানিলো এবং উইলিয়াম কারাভালহো।
৪) এডেরকে নিয়ে ইউরো কাপ জেতার পর পর্তুগালের কোচ স্যান্টোস যে কথাটা বলেছেন, ওটা উল্লেখ করতে ইচ্ছে হল। স্যান্টোস বলেছেন, 'দ্য আগলি ডাকলিং টার্নড ইনটু আ বিউটিফুল ওয়ান!' ভালো, কী বলেন?
৫) দেশের জার্সি গায়ে এডের খেললেন মোট ২৯টি ম্যাচ। তাতে তাঁর গোল হয়ে গেল চারটে! যার একটি গোলের দাম ঠিক কতটা, তা বোধহয় কোনওদিন মূল্যায়ন করা যাবে না।
আরও পড়ুন রূপকথার রাজা রোনাল্ডোর গল্প যেভাবে বুড়ো বয়সে নাতিদের কাছে করবেন