নিজস্ব প্রতিনিধি : এই ১৪৯ রান আর পাঁচটা বড় ইনিংসের মতো নয়। এই ১৪৯ এর মূল্য ঠিক কতটা তা বিরাট কোহলি জানেন। আর জানেন সচিন তেণ্ডুলকর। ইংল্যান্ডের মাঠে ১৪৯ রান মানে বিলেতে ভারতীয় ক্রিকেট কৌলিন্যের প্রচার। দেখতে ১৪৯ রান হলেও সেটা সামান্য কটা সংখ্যা মোটেও নয়। ব্রিটিশদের ডেরায় ঢুকে সেঞ্চুরির সেলিব্রেশন মানে সাফল্যের থেকেও একটু বেশি কিছু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ব্রিটিশ ক্রিকেটারকে ‘উত্তেজিত কুকুরছানা’ বলে কটাক্ষ!


যে কোনও সফরের আগে প্রস্তুতি লাগে। সেই সফর আবার ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ায় হলে তো কথাই নেই। তখন প্রস্তুতির সময় ও আদল না বাড়ালে মুশকিল। ইংল্যান্ডের মাটিতে একদম আলাদা পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে লড়াই করতে হয়। উপমহাদেশীয় উইকেট বা আবহাওয়ার সঙ্গে কোনও মিল নেই। ফলে ক্রিকেটের বাইরেও আরও অনেক কিছুর সঙ্গে লড়াই করার প্রয়োজন পড়ে। বিলেতের মাঠে টিকে থাকার লড়াইয়ে নামবার আগে তাই প্রস্তুতির ধাঁচ ঠিক করে নিতে হয়। পুরনো ট্রেনিংয়ের বাইরেও অনেক নতুন কিছু করতে হয়। নিজেকে প্রস্তুত রাখতে সময়ের বাইরেও সময় বের করে নিতে হয় যে কোনও বড় মাপের ক্রিকেটারকে। বিরাট কোহলিও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নন। জো রুটদের বিরুদ্ধে নামার আগে প্রথাগত ট্রেনিংয়ের বাইরেও আলাদা করে হোমওয়ার্ক করেছিলেন বিরাট। ঠিক কেমন ছিল সেই ট্রেনিং? কেমনভাবে ইংল্যান্ড পেসারদের সামলানোর রণনীতি সাজিয়েছিলেন বিরাট? জানালেন মাস্টার ব্লাস্টার।


আরও পড়ুন-  সবার দ্বারা স্লিপে ফিল্ডিং হয় না: আজাহারউদ্দিন


সচিন বলছিলেন, ''বিরাটের সব থেকে ভাল দিক হল ও নিজের দুর্বল জায়গাগুলো সহজে চিহ্নিত করতে পারে। ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগে ও সেই দুর্বল জায়গাগুলো নিয়ে হোমওয়ার্ক করেছে। ওর যখনই মনে হয়েছে যে অন সাইডে কিছু শট খেলতে সমস্যা হচ্ছে ও সঙ্গে সঙ্গে নেটে ছুটেছে সেই জায়গাগুলো মেরামত করতে। একজন বড় মাপের ব্যাটসম্যান সহজে নিজের খামতিগুলো মেনে নেয়। আর সেই খামতিগুলো মেটানোর জন্য পরিশ্রম করতে শুরু করে। বিরাট বড় মাপের ব্যাটসম্যান। যে কোনও বড় চ্যালেঞ্জের আগে বিরাট নিজেকে আলাদা করে তৈরি করে। এটাই ওর সাফল্যের ইউএসপি। সচিন আরও বলছিলেন, বিরাটের বড় রান পাওয়াটা ভারতকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। বিরাটকে এই মোমেন্টাম ধরে রাখতে হবে। তা হলে ইংল্যান্ডে সিরিজ জয় অসম্ভব কিছু নয়।''