Sundarbans: মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে জলদস্যুদের হামলা, সুন্দরবনে আক্রান্ত ১১
অভিযোগ, রাতে হামলা চালানো হয় এবং লাঠি, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সুন্দরবনের জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে জলদস্যুদের হাতে আক্রান্ত হলেন ১১ জনের মধু সংগ্রহকারী। আক্রান্তদের বাড়ি সুন্দরবনের বালি ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। আক্রান্তদের মধ্যে ৮ জন গোসাবা ব্লক হাসপাতালে এবং ৩ জন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গিয়েছে, আক্রান্তরা হলেন অনন্ত মণ্ডল, ইদ্রিশ আলি জমাদার, রবীন্দ্রনাথ গায়েন, বিশ্বনাথ মণ্ডল, অনন্ত মণ্ডল, সঞ্জয় আড়ি, রমেশ গায়েন, ধনঞ্জয় মণ্ডল, শঙ্কর মণ্ডল, সুনীল মণ্ডল এবং সুক্ষ মণ্ডল। স্থানীয় সূত্রে খবর, সরকারি ভাবে ৮ এপ্রিল থেকে সুন্দরবনের জঙ্গলে মধু সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। বন দফতরের বৈধ অনুমতি নিয়ে ৪৩টি দল সুন্দরবনের সজনেখালি থেকে গভীর জঙ্গলে রওনা দিয়েছিল। সোমবার রাতে পীরখালি জঙ্গল সংলগ্ন গাজীর খাল এলাকায় নৌকায় ঘুমোচ্ছিলেন মধু সংগ্রহকারীরা। অভিযোগ, রাত ১১টা নাগাদ দুটি নৌক করে প্রায় ২৫ জনের একটা ডাকাত দল তাঁদের ঘিরে ফেলে। লাঠি, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। মাথা ফাটিয়ে দেয়। এরপর নৌকার হাল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র নদীতে ফেলে দেয়। পাশাপাশি সংগৃহিত ৭-৮ কুইন্টাল নিয়ে চম্পট দেয় জলদস্যুরা।
রাতের অন্ধকারে জঙ্গলের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকে মউলেরা। মঙ্গলবার ভোরে জঙ্গল থেকে গাছের ডাল ভেঙে, নৌকা চালিয়ে তাঁরা পীরখালির ফরেষ্ট অফিসে ফেরে। সেখানে বন দফতরের আধিকারিকদের সমস্ত ঘটনা জানায়। বন দফতরের লোকজন তড়িঘড়ি ১১ জনকে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। ইদ্রিশ আলি জমাদার,রবীন গায়েন, অনন্ত মণ্ডলদের অবস্থা সংকটজনক হলে, তাঁদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আক্রান্তদের অনুমান জলদস্যুরা বাংলাদেশ বা উত্তর ২৪ পরগনার সামশেরনগর এলাকা থেকে এসেছিল।
আরও পড়ুন: Jhalda Councilor Murder: ফের SDPO-কে তলব CBI-র, নজরে হোটেল মালিকও