মিনাখাঁর পর কুলপি, আবার বোমায় দগ্ধ ২ শিশু!
বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে কুলপি থানার পুলিস। পাশাপাশি এলাকা থেকে ৫টি তাজা বোমা ও একটি লোডেড আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করেছে।
প্রসেনজিৎ সরদার: মিনাখাঁর পর কুলপি। মিনাখাঁয় বোমা ফেটে শিশুমৃত্যুর পর কুলপিতে বোমার আঘাতে জখম ২ শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে কুলপি থানার ছামনাবনি গ্রামের। ছামনাবনি গ্রামের একটি পোলের তলায় প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় পড়েছিল বোমাগুলি। ৩ নাবালক সেই প্লাস্টিকের মধ্যে থাকা বোমা তুলে এনে বল ভেবে ছুঁড়ে খেলতে যায়। তখনই ওই বোমাগুলি থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয় ২ নাবালক।
আহতদেরকে উদ্ধার করে কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে কুলপি থানার পুলিস। পাশাপাশি এলাকা থেকে ৫টি তাজা বোমা ও একটি লোডেড আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করেছে। ঘটনার পর থেকেই থমথমে ছামনাবনি এলাকা। বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুল্পি থানার পুলিস।
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যায় মিনাখাঁর বকচোরা পঞ্চায়েতের গাইন পাড়ায় বাড়িতে মধ্যে মজুত করে রাখা বোমা ফেটে মৃত্যু হয় এক শিশুর। ঘরের ভিতর মাচার উপর উপর রাখা নারকেল পাড়তে গিয়েছিল ওই শিশু। তখনই সেখানে থাকা বোমা মাটিতে পড়ে গিয়ে ফেটে যায়। বোমার আঘাতে গুরুতর আহত ওই শিশুকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন, ঘরোয়া পার্টিতে মহিলার সঙ্গে অশ্লীল ভিডিয়ো, ভাইরালের হুমকিতে ব্ল্যাকমেইল চিকিৎসককে!
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসতেই রাজ্যে বোমা-রাজনীতি আবার শুরু হয়েছে বলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। দুদিন আগেই বীরভূমের সাঁইথিয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সময় বোমা আঘাতে এক তৃণমূল কর্মীর পা উড়ে যায়। তারপর আবার কেশপুর। সেখানেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর বোমা নিয়ে হামলায় এক তৃণমূল কর্মীর হাতের একাংশ উড়ে যায়।