নিজস্ব প্রতিবেদন : বার বার করা নিষেধ সত্ত্বেও, কোনও বারণ কানে তোলেননি বৃহন্নলারা। অসুস্থ সদ্যোজাতকে নিয়ে জোর করে নাচানাচি করে বৃহন্নলাদের দল। আর তার জেরেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ওই শিশুর। শেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত বৃহন্নলাদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় (৩০৪ ধারায়) রুজু হল মামলা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই ঘটনায় গতকালই গ্রেফতার করা হয়েছিল ৩ বৃহন্নলাকে। আজ অভিযুক্ত বৃহন্নলাদের ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়। সেখানেই অভিযুক্ত বৃহন্নলাদের বিরুদ্ধে মামলায় অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা (৩০৪) যুক্ত করা হয়। বাড়িতে সদ্যোজাত এলেই বৃহন্নলাদের আগমন নতুন কিছু নয়। সদ্যোজাতকে আশীর্বাদ দেওয়ার বিনিময়ে টাকা দাবি করে থাকেন তাঁরা। অভিযোগ, কখনও কখনও তাঁদের সেই জোরজুলুম মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। যার জেরে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে। শুক্রবার ঝাড়গ্রামের শিলদায় এমনই একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।


শিলদার বাসিন্দা চন্দন খিলার। গত ৪ ডিসেম্বর যমজ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন চন্দন। কিন্তু যমজদের একজনের হার্টে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে জন্মের পর থেকেই ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সুমন নামে ওই শিশুটি। চলতে থাকে চিকিৎসা। দিন কুড়ি আগে সুস্থ হয়ে ওঠে ওই শিশুটি। তারপরই তাকে বাড়ি নিয়ে যায় খিলার দম্পতি। অভিযোগ, এরপরই গতকাল সকালে বাড়িতে চড়াও হন বৃহন্নলারা। ১০ হাজার টাকা দাবি করতে থাকেন তাঁরা। একইসঙ্গে শিশু দুটিকে তাঁদের হাতে দেওয়ার জন্য জোর করতে থাকেন।


আরও পড়ুন, পাড়ার 'মামা'র সঙ্গে পরকীয়া বিধবা শাশুড়ির! সত্যি জেনে ফেলায় বিয়ের ৭ মাসেই 'খুন' বউমা


আরও পড়ুন, পান্তা ভাতে মিশেছিল আড়াই ইঞ্চি লম্বা সূচ, খেতে গিয়ে বিঁধল গলায়! তারপর...


বাড়ির লোক রাজি না হলে, একরকম জোর করেই শিশুদুটিকে কোলে নেন বৃহন্নলারা। অভিযোগ, বার বার না করা সত্ত্বেও শিশুদুটিকে নিয়ে নাচানাচি করেন তাঁরা। এরপরই একরত্তি সুমন ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে দাবি করেছেন বাড়ির লোকেরা। তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় বিনপুর থানায় অভিযুক্তদের নামে অভিযোগ জানায় ওই শিশুর পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে গতকালই অভিযুক্ত বৃহন্নলাদের গ্রেফতার করে পুলিস।