মেচেদা স্টেশনে ট্রলি ব্যাগে উদ্ধার কলকাতার ব্যবসায়ীর দেহ, খুনে ধৃত মূল পান্ডা সহ ৪

দিঘায় বছরে ২১ লক্ষ টাকা লিজে একটি হোটেল নিতে চেয়েছিলেন হাসান আলি। ট্রেনের মধ্যে ব্যাগ খুলতেই তার ভিতর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহ।

Updated By: Mar 5, 2020, 12:28 PM IST
মেচেদা স্টেশনে ট্রলি ব্যাগে উদ্ধার কলকাতার ব্যবসায়ীর দেহ, খুনে ধৃত মূল পান্ডা সহ ৪

নিজস্ব প্রতিবেদন : ট্রেনে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ চিনিয়ে দিল দুষ্কৃতীদের। মেচেদা স্টেশনে ট্রলি ব্যাগের ভিতর বউবাজারের ব্যবসায়ী হাসান আলির দেহ উদ্ধারের ঘটনায় মূল পান্ডা সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিস। রেলের তরফে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজ। পরিবারের অভিযোগ ও ফুটেজের ভিত্তিতে খুনিদের শনাক্ত করে পাঁশকুড়া জিআরপি। প্রথমে পুলিসের জালে ধরা পড়ে খুনের ঘটনা মূল পান্ডা তৌহিজ উদ্দিন শেখ ওরফে রাজু হালদার। ধৃত রাজু হালদারকে জেরা করে আরও তিন শাগরেদকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতরা হল গৌতম জানা, দুর্গা শঙ্কর সেনাপতি ওরফে ননী ও টোটোচালক প্রণব দাস।

দিঘায় হোটেল লিজ নিতে যাওয়ার পথে খুন হন বউবাজারের বাসিন্দা, পেশায় ব্যবসায়ী হাসান আলির দেহ। মেচেদায় ট্রেনের ভিতর ট্রলি ব্যাগের মধ্যে উদ্ধার হয় দেহ। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, দিঘায় বছরে ২১ লক্ষ টাকা লিজে একটি হোটেল নিতে চেয়েছিলেন হাসান আলি। ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। বাকি ৫ লক্ষ টাকা দিতে দিঘায় আসার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁর আর কোনও সন্ধান পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজন। শেষে মেচেদায় উদ্ধার হয় ট্রলি ব্যাগবন্দি দেহ।

ট্রেন পরিষ্কারের সময় লাল রঙের একটি বড় ট্রলি ব্যাগ পড়ে থাকেন দেখেন সাফাইকর্মীরা। ট্রলি ব্যাগটি খুলতেই আঁতকে ওঠেন তাঁরা। ব্যাগ খুলতেই তার ভিতর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেহটি উদ্ধার হয়। মৃতের পরনে ছিল সাদা রঙের জামা আর ছাই রঙা প্যান্ট। সঙ্গে সঙ্গেই সাফাইকর্মীরা আরপিএফ ও জিআরপি-কে খবর দেন। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠায় পাঁশকুড়া জিআরপি। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃতের পরিচয় তখন জানা যায়নি। পরে পাঁশকুড়া জিআরপিতে করা মিসিং ডায়েরির সূত্র ধরে নিহতের পরিচয় জানতে পারে পুলিস।

আরও পড়ুন, প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে, রাতের অন্ধকারে বাড়িতে চড়াও হয়ে 'ধর্ষণ' করল প্রেমিক!

আরও পড়ুন, মার্বেল মিস্ত্রির সঙ্গে প্রেম, বিয়ের কথা চলার মাঝেই আত্মঘাতী উচ্চশিক্ষিতা যুবতী

নিহতের পরিবার অভিযোগ করে, দিঘায় হোটেল লিজ নেওয়ার জন্য কয়েকজন ব্রোকারকে টাকা দিতে যাওয়ার পথেই নিখোঁজ হয়ে যান হাসান । ব্রোকাররাই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এই খুন করেছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিস।

.