বাহান্নয় বাজিমাত, আইনজীবী ছেলের হাত ধরে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ মায়ের
এ এক অদম্য ইচ্ছেশক্তির গল্প। উত্তর ২৪ পরগনার রহড়া রামকৃষ্ণপল্লির বাসিন্দা প্রতিমা গঙ্গোপাধ্যায়, বয়স ৫২। ছেলের কাছে পড়াশোনা করে এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ২৫৯।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ৫২-র কোটায় এসে কার্যত বাজিমাত করলেন প্রৌঢ়া। আইনজীবী ছেলের সহায়তায় উত্তীর্ণ হলেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়। এবার তাঁর লক্ষ্য উচ্চশিক্ষা। এ এক অদম্য ইচ্ছেশক্তির গল্প। উত্তর ২৪ পরগনার রহড়া রামকৃষ্ণপল্লির বাসিন্দা প্রতিমা গঙ্গোপাধ্যায়, বয়স ৫২। ছেলের কাছে পড়াশোনা করে এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ২৫৯।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা হবে না, পাঠানো হবে জুনের নতুন বিল, মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জানাল CESC
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ১৯৯০ সালে বিয়ে হয় তাঁর। এর আগে মাধ্যমিক দিলেও সেবার উত্তীর্ণ হতে পারেননি প্রতিমাদেবী। ফের পড়াশোনার ইচ্ছে থাকলেও বিয়ের পর ইতি পড়ে। তবে আফসোস ছিলই। আর ছিল অদম্য ইচ্ছা, লড়াই-এর মনোবল। নিজের অপূর্ণ সাধ পূরণ করে গেছেন ছেলেদের মধ্যে। এরপর ছেলেরা বড়ো হয় মা-এর স্বপ্নপূরণের দায়িত্ব নেয়। আর তাতেই ৫২-র কোটায় দাঁড়িয়ে জীবনের অন্যতম ইচ্ছে পূরণ করে ফেলেছেন প্রৌঢ়া।
আরও পড়ুন: বিষক্রিয়ায় মৃত্যু কিশোরীর! চোপড়ার কাণ্ডে গ্রেফতার ১৫ জন, মোতায়েন বিরাট পুলিস বাহিনী
দুই ছেলে আর স্বামী নিয়ে আর পাঁচটা গৃহবধূর মতোই চলছিল যাপন। গল্প মোড় নেয় ২০১৭ সালে। নতুন করে ফের পড়াশোনা শুরু হয় বড় ছেলে অয়ন গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে। ২০১৭-তে রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় মাকে মাধ্যমিকের কোর্সে ভর্তি করিয়ে দেন তিনি। মাধ্যমিক দেওয়া নির্বিঘ্নে হলেও সমস্যা হয় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময়। ৫২ বছরের প্রৌঢ়াকে স্কুলে ভর্তি করার কথা শুনে কার্যত চমকে যায় স্কুলের কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু হাল ছাড়েননি অয়নবাবু। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে শেষপর্যন্ত রহড়া আইডিয়াল আকাডেমি ফর গার্লস স্কুলে মাকে ভর্তি করান। দু-বছর প্রস্তুতি নিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হন প্রতিমাদেবী। তাঁর বড় ছেলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাতেও বসাবেন মা-কে। প্রতিমাদেবীর কথায়, "এবার কলেজ যাব, তারপর মাস্টার্সও করব। আমি ভীষণ খুশি"