মদ্যপ ভাইয়ের হাতে খুন দাদা, কারণ এখনও ধোঁয়াশা
ভাইয়ের হাতে দাদা খুন। দাদার মাথায় লোহার রডের বাড়ি মেরে খুন করল ছোট ভাই। খুনের পর নিজেও রাতভর পড়ে রইল পাশের ঘরে। মদের ঘোরে অশান্তি। তার জেরেই খুন। বলছে পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাইয়ের হাতে দাদা খুন। দাদার মাথায় লোহার রডের বাড়ি মেরে খুন করল ছোট ভাই। খুনের পর নিজেও রাতভর পড়ে রইল পাশের ঘরে। মদের ঘোরে অশান্তি। তার জেরেই খুন। বলছে পুলিস।
আরও পড়ুন: দেওরের যৌন হেনস্থা, সঙ্গে পণের দাবি, গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা এলাকার কংগ্রেস পাড়ার বাসিন্দা বাবলু দাস অবসরপ্রাপ্ত পুলিসকর্মী। তাঁর দুই ছেলে সুজিত এবং প্রসেনজিত দাস। মদের নেশায় বুঁদ হয়েই দিন কেটে যায় বাবা আর দুই ছেলের। তীব্র মদের নেশায় ছেলে মেয়ের প্রতি কোনও দায়িত্বই পালন করেননি বাবলু দাস। জামাইবাবুর এই হাল দেখে দিদি ও তাঁর ৩ ছেলেমেয়ের দেখভালের দায়িত্ব নেন সুজিত-প্রসেনজিতের মামা। মদের নেশার কারণেই দাস পরিবারে অশান্তি ছিল নৈমিত্তিক। অশান্তির জেরে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে উঠে যান সবাই। একটি ভাড়া বাড়িতে দিদি আর ভাগ্নীকে নিয়ে সুজিতদের মামা থাকতেন। অন্য বাড়িতে বাবার সঙ্গে থাকতেন সুজিত-প্রসেনজিত।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন অধীর! জল্পনা তুঙ্গে
গত কয়েকদিন ধরেই খোঁজ নেই বাবলু দাসের। ফাঁকা বাড়িতে মদ্যপ দুই ভাইয়ের অশান্তি চরমে ওঠে। শনিবার রাতে প্রসেনজিতের মারে চিত্কার করতে থাকে সুজিত। বাড়ির মালিক এসেও ঘরে ঢুকতে পারেননি। রবিবার সকালে পুলিস এসে সুজিতের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। দাদার মাথায় রড দিয়ে মেরে খুন করে পাশের ঘরেই ঘুমিয়েছিল প্রসেনজিত। খুনের অভিযোগে প্রসেনজিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।