মত্ত ছেলেকে শান্ত করার চেষ্টা, গুলিতে বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু মায়ের
শনিবারও অনেক রাতে বাড়িতে ফেরে সাগর। মা ও স্ত্রীয়ের সঙ্গে অশান্তি শুরু করে। তার চিত্কারে প্রতিবেশীরা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। লজ্জায় ছেলেকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন বানোবালা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মত্ত অবস্থায় বাড়িতে অশান্তি করছিল ছেলে। প্রতিবেশীরা অভিযোগ করছিলেন। মা কানে ভেসে আসছিল গুঞ্জন। মা সহ্য করতে পারেননি। মত্ত ছেলেকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতেই হল কাল! নিজের ছেলের হাতেই খুন হতে হল প্রৌঢ়াকে। কোচবিহারের দিনহাটার ঘটনা।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটার সাহেবগঞ্জ থানার খারিজা বানিয়াদহ এলাকার বাসিন্দা বানোবালা সরকারের দুই ছেলে। বড় ছেলে সাগর সরকার পেশায় দিনমজুর। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বানোবালার বড় ছেলে সাগর নেশায় আসক্ত। প্রায় প্রত্যেক দিনই মদ্যপান করে বাড়ি ফিরত সে। বাড়িতে স্ত্রীয়ের ওপরও অত্যাচার করত। শেষ কয়েকদিনে রোজ মদ্যপান করে বাড়িতে ঢুকে অশান্তি করত সাগর।
শনিবারও অনেক রাতে বাড়িতে ফেরে সাগর। মা ও স্ত্রীয়ের সঙ্গে অশান্তি শুরু করে। তার চিত্কারে প্রতিবেশীরা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। লজ্জায় ছেলেকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন বানোবালা। আচমকাই সাগর পকেট থেকে বন্দুক বার করে গুলি করে। বানোবালার বুকে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সাগর স্ত্রীর চিত্কার ও গুলির শব্দ পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। ততক্ষণে পালিয়ে যায় সাগর। রক্তাক্ত অবস্থায় বানোবালাকে উদ্ধার করে দিনহাটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত সাগর। তার বিরুদ্ধে সাহেবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিস সাগরের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।