R G Kar Incident: এইসব খুনি-ধর্ষকদের এনকাউন্টার করে মারা উচিত, আরজিকর-কাণ্ডে বিস্ফোরক অভিষেক

R G Kar Incident:অভিষেক বলেন, প্রতিটি ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা আমাদের একটা কালচার হয়ে গিয়েছে। আমাদের কী করা উচিত? আইনসভায় আইন সংশোধন করে অর্ডিন্যান্স আনুন, ৬ মাস পরে বিল আনুন যাতে সাত দিনের মধ্যে, এক মাসের মধ্যে এদের ব্যবস্থা হয়...

Updated By: Aug 10, 2024, 09:10 PM IST
R G Kar Incident: এইসব খুনি-ধর্ষকদের এনকাউন্টার করে মারা উচিত, আরজিকর-কাণ্ডে বিস্ফোরক অভিষেক

জি ২৪  ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: আরজিকর হাসপাতালের খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু মুখ খোলাই নয় এরকম অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীর বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেন ডায়মন্ড হারবারারের সাংসদ। এদিন তিনি বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও নারকীয়। রাজ্য সরকারের অবস্থানের কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন। কিন্তু আমাদের দেশের আইন এমন যে আমরা চাইলেও অনেককিছু করতে পারি না। আমাদের হাত বাঁধা। এরকম ঘটনা যারা ঘটনায় তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। বিচার হবে, রায় হবে। তারপর তাদের ফাঁসি কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে । কিন্তু যে ঘটনা ঘটিয়েছে সে পুলিস, নাকি ইঞ্জিনিয়ার, খেলোয়াড়া নাকি রাঁধুনি, নাকি আর্কিটেক্ট তা দেখার প্রয়োজন নেই। একজন ধর্ষকের কোনও জাত হয় না। সে ধর্ষক। এরকম লোকের সমাজে থাকার কোনও অধিকার নেই। দ্রুত বিচার করে যাতে তার শাস্তি হয় তা আমরা সবাই চাইব।

আরও পড়ুন-আরজিকর-কাণ্ডে ভাঙল ঘুম, হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ

অভিষেক বলেন, প্রতিটি ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা আমাদের একটা কালচার হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি রাজনৈতিক দল পতাকা নিয়ে বসে পড়েছে। আমরা যদি সত্যিই চাই যে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হোক তাহলে আমাদের কী করা উচিত? আইনসভায় সংশোধন করে অর্ডিন্যান্স আনুন, ৬ মাস পরে বিল আনুন যাতে সাত দিনের মধ্যে, এক মাসের মধ্যে এদের ব্যবস্থা হয়। যাদের সরকার রয়েছে তারা অর্ডিন্যান্স করে ইডি ডিরেক্টরের মেয়াদ বাড়াতে পারেন, তাহলে একজন ধর্ষকের ৭ দিন যাতে বিচার হন তার জন্য অর্ডিন্যান্স আনতে পারেন না কেন? বিজেপির পতাকা নিয়ে যারা বসে পড়েছেন তাদের উচিত তাদের নেতৃত্বকে বলা আপনারা এমন একটা আইন আনুন যাতে ৭ দিনে বিচার হয়। তৃণমূলের উচিত সেই বিলকে সমর্থন করা, কংগ্রেসের উচিত সেই বিল সমর্থন করা। তা না করে আমরা রাজনীতির করছি। আমাদের সমাজ এমন যে কোনও ঘটনা না ঘটলে আমাদের ঘুম ভাঙে না। নির্ভয়া হয়েছিল ২০১২ সালে দিল্লিতে। তার পরে একের পর এক ঘটনা তা সে উত্তর প্রদেশে ঘটুক, মহারাষ্ট্রের  ঘটুক বা গুজরাটে ঘটুক তার সমাদের জন্য কলঙ্কজনক।  কেন বিচার হতে ৫ বছর লাগে? একজন মায়ের কোল খালি হয়ে গেল, একজন বাবা তার মেয়েকে হারাল। এক প্রতিবাদ সবাইকে করতে হবে। বিজেপি বলছে সিবিআই চাই। সিবিআই তদন্ত করে মেয়েটা ফিরে আসবে? এটা যদি উত্তর প্রদেশ হতো তাহলে মৃতদেহটাও পাওয়া যেত না। হাতরাসে ধর্ষণকের খুন করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার পরে ধর্ষণ বন্ধ হয়েছে? আইন তৈরি না করলে এর বদল হবে না।

ঘটনার পরপরই মুখ্যমন্ত্রী অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে। এমনকি পুলিস বলছে, নির্যাতিতার পরিবার চাইলে অন্য এসেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করতে পারে। এদিন অভিষেক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন। পুলিস ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে রাত ২-৩টের মধ্যে। এই যে অবাধ যাতায়াত, এর উপরে নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে। কেন রাত নটার পর হাসপাতালে  অবাধ যাতায়াত হবে? সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল বলে অভিযুক্তকে ধরা গিয়েছে। আমি মনে করি এমন আইন আনা দরকার যে এই খুনি ও ধর্ষকদের এনকাউন্টার করে মারা উচিত। কেন ৫ বছর ধরে ট্রায়াল চলবে? কাউকে ৫ বছর ট্রায়ালে রাখতে হলে  ৫ লাখ টাকা খরচ হবে। এমন কেন হবে? বিজেপি বিল আনতে পারে আর তৃণমূল পারে তাকে সমর্থন করতে। সারকামস্টেনশিয়াল এভিডেন্স কারও বিরুদ্ধে গেলে তার ৭ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করে ফেলা উচিত। বিচার শেষ ট্রায়াল কোর্ট বলে দিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে। বিলকিস বানুর ক্ষেত্রে কী হয়েছিল! সবাই ছাড়া পেয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করার ফের তারা জেলে গেল।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.