Militant| ABT: মুর্শিদাবাদে অস্ত্র পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ছক ছিল, এবিটি জঙ্গি যোগে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
Militant| ABT: সম্প্রতি রাজ্য পুলিসের এসটিএফ গ্রেফতার করেছে সাজিবুল ইসলাম ও মুস্তাকিন মণ্ডল নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য় পাওয়া গিয়েছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবিটি জঙ্গি যোগে এবার বেরিয়ে এল নতুন তথ্য। অসমে নদীর চরে জঙ্গিদের আইইডি ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ চলছিল। কোকরাঝাড়ে যে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করা হয় তা মুর্শিদাবাদে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল। সেখানেই জঙ্গি প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে তাদের জেরা করার পরই ওই তথ্য় সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন-হোটেল থাকতে গেলে চাই সম্পর্কের প্রমাণপত্র, অবিবাহিত যুগলদের আর রুম দেবে না OYO!
সূত্রের খবর মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় মাদ্রাসা তৈরি করে সেখানেই জঙ্গি প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা ছিল। এছাড়াও এবিটির প্রধান জসিমউদ্দিন ঘনিষ্ঠদের মুর্শিদাবাদে যাতায়াত ছিল। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ থেকে দুজনকে জেরা করে একাধিক তথ্য সামনে এসেছে। জসিমউদ্দিন রহমানির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যারা, তারা বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময় মুর্শিদাবাদে আসত। তাদের থাকা, বৈঠকের জন্য় ব্যবস্থা করা হত। পাশাপাশি জসিমউদ্দিন রহমানির বই নিয়ে এসে জেহাদি ভাবধারার প্রচার চলত।
সম্প্রতি রাজ্য পুলিসের এসটিএফ গ্রেফতার করেছে সাজিবুল ইসলাম ও মুস্তাকিন মণ্ডল নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য় পাওয়া গিয়েছে। অসমেও পুলিস বেশ কেকজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে আইইডি, হ্যান্ড মেড একে ৪৭ উদ্ধার হয়েছে। সেই অস্ত্র কোথা থেকে এসেছিল, কী কাজে লাগানো হত তা জানাতে গিয়েই উঠে আসে, অসমের বিভিন্ন নদীর চলে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। পাশাপাশি সেই আইইডি তৈরি শেখানো হত। সেই অস্ত্র ও আইইডি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় একটি মাদ্রাসায় আনার পরিকল্পনা ছিল। কীভাবে সেই মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তার নীল নকশা তৈরি হয়েছিল।
তদন্তকারী অফিসারদের বক্তব্য, জেএমবি ও এবিটি জঙ্গিরা একসঙ্গেই কাজ করছে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে তারিকুল ইসলাম ওরফে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে সে রয়েছে বহরমপুর জেলে। সেই তারিকুল ইসলাম জেলে আসার পরই আব্বাস নামে একজনের মগজ ধোলাই করে। পরবর্তীকালে আব্বাস এবিটির হয়ে কাজ শুরু করে। ফলে গোয়েন্দারা মনে করছেন জেলে থাকলেও তারিকুল সেখান থেকেই তার নেটওয়ার্ক চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে তারিকুলরে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা।
গোয়েন্দারা মনে করছেন একসময় বাংলাদেশি জঙ্গিদের পরিকল্পনা ছিল সীমান্তের কাছাকাছি কোনও জায়গায় তাদের নেটওয়ার্ক তৈরি করা। এখন শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর প্রচুর জঙ্গি জেলে থেকে ছাড়া পেয়েছে। এবিটি প্রধান জসিমুদ্দিন রহমানিকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে মুর্শিদাবাদ ও ফালাকাটার মতো এলাকায় জঙ্গি নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টা চলছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)