Anubrata Mondal: 'মাজা ভেঙে দেব' থেকে 'পিঠে চড়াম চড়াম পড়বে', বিরোধীদের অনুব্রত-ঘনিষ্ঠের হুমকি-বাণ
বিরোধীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। বীরভূমের রামপুরহাটের পাঁচ মাথার মোড়ে বিরোধীদের উদ্দেশ্য়ে তিনি বলেন, "কয়েকটা নেংটি ইঁদুর টিভিতে বক্তব্য দিচ্ছে। মনে রাখবেন তৃণমুল কংগ্রেসের কর্মীরা মরে যায়নি। যদি রাস্তাঘাটে কোন বিরোধী দলের কেউ অনুব্রত মণ্ডলের নামে অশালীন মন্তব্য করেন, কিংবা অশালীন কথাবার্তা বলেন, তাহলে তৃণমূল কর্মীরা পিটিয়ে মাজা ভেঙে দেবে।"
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গোরুপাচার মামলায় (Cow smuggling case) অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal/ Anubrata Mondal) গ্রেফতার হতেই বিরোধী শিবিরে খুশীর হাওয়া। পথে নেমেছে বাম-বিজেপি-কংগ্রেস। কেউ চড়াম, চড়াম করে ঢাক বাজিয়েছে তো কেউ গুড়-বাতাসা-নকুলদানা বিলি করেছে। স্বভাবতই নেতার খারাপ সময়ে বিরোধীদের এই উচ্ছ্বাস ভাল চোখে দেখছে না শাসকদল। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটল শুক্রবার। প্রকাশ্য সভা থেকে বিরোধীদের হুমকি দিলেন শাসকদলের মেজ-সেজ-ছোট নেতারা। কেউ দিলেন 'মাজা ভেঙে দেওয়া'র হুমকি, তো কেউ বললেন 'পিঠে চড়াম চড়াম পড়বে'। যা শুনে তাজ্জব বিরোধীরা! অনেকে বলছেন, নেতার অবস্থা দেখেও শাসকদলের মেজ-সেজ-ছোট নেতাদের এত দাপট? সমালোচনায় সরব বাম-বিজেপি।
বিরোধীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। বীরভূমের রামপুরহাটের পাঁচ মাথার মোড়ে বিরোধীদের উদ্দেশ্য়ে তিনি বলেন, "কয়েকটা নেংটি ইঁদুর টিভিতে বক্তব্য দিচ্ছে। মনে রাখবেন তৃণমুল কংগ্রেসের কর্মীরা মরে যায়নি। যদি রাস্তাঘাটে কোন বিরোধী দলের কেউ অনুব্রত মণ্ডলের নামে অশালীন মন্তব্য করেন, কিংবা অশালীন কথাবার্তা বলেন, তাহলে তৃণমূল কর্মীরা পিটিয়ে মাজা ভেঙে দেবে।" একই সুর শোনা যায় ইলামবাজারের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দুলাল রায়ের গলাতেও। তিনি বলেন, "কেউ গুরু বাতাসা বিলি করলে, পিঠে চড়াম চড়াম পড়বে।"
বিজেপির বিরুদ্ধে পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে একটি বিক্ষোভ সভা করা হয়। ওই সভায় বক্তব্য রাখেন আউসগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের কার্যকরী সভাপতি অরূপ মিদ্যা। তিনি বলেন, "আমাদের নেতাকে মিথ্যা কেসে ফাঁসানো হয়েছে। গতকাল রাত পর্যন্ত আউসগ্রামের ভালকি অঞ্চলে বিজেপি বোম ফাটিয়েছে। আমি পুলিসকে জানিয়েছি। দলের উচ্চ নেতৃত্ব আমাকে শান্ত থাকতে বলেছে। আমি আমার ছেলেদের বললে যে কটা ওখানে বিজেপি করছে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিজেপি মনে করেছে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে আউসগ্রাম, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রামে সংগঠন শেষ করে দেবে! এত সোজা? অনুব্রত মণ্ডল যে বীজ বপন করে গিয়েছেন তাতে এখন আমাদের নেতারা সবাই অনুব্রত মণ্ডল।"