জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হলং বাংলোর পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বল করছে মানুষের স্মৃতিতে। এর মধ্যেই ফের ভস্মীভূত শতাব্দী প্রাচীন সিংটাম চা বাগানের বাংলো। সিংটাম চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোতে বিধ্বংসী আগুন লাগে। তার তাতেই পুড়ে ছাই ১০৪ বছরের পুরনো বাংলো। সূত্রের খবর, রবিবার রাতে ওই বাংলোয় আগুন লাগে। কালো ধোঁয়ায় ঢাকে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Weather: পুজো মিটতেই ফের নিম্নচাপ, বৃষ্টি দুর্যোগ মাটি করবে দুর্গার কার্নিভাল?


দুর্গম এলাকা হওয়ায় দমকল কর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বেশ কিছুটা দেরি হয়। ফলে আর বাঁচানো যায়নি এই বাংলো। আগুনের লেলিহান শিখা ততক্ষণে গ্রাস করে বাংলোকে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, শটসার্কিট থেকেই আগুন লাগে এই বাংলোয়। ১৯০২ সালে ব্রিটিশরা সিংটামের চা বাগানের ম্যানেজারের বাংলোটি তৈরি করে। বর্তমানে সিংটাম চিকম্যান চা বাগানটি বন্ধ। তবে বাংলোটি পর্যটকদের আবাসস্থল হিসাবে কাজে লাগানো হত।


তবে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখতে বিস্তারিত অনুসন্ধান করা হবে বলে জানানো হয়েছে দমকল দপ্তরের পক্ষ থেকে। কয়েকদিন আগে ওই চা বাগানের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের বাংলোটিতেও আগুন লেগেছিল।  এর আগে গত ১৮ জুন হলং বাংলোয় অগ্নিকাণ্ডে ৮টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল যে, এসির শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। 


দমকলের দুটো ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। বাংলোটি শেষ পর্যন্ত পুরোটাই ছাই হয়ে যায়। তবে ১৫ জুন থেকে জঙ্গল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলোটিতে এই সময় কোনও পর্যটক ছিলেন না। ভিআইপি থেকে দেশ-বিদেশের বহু পর্যটকরা এই বাংলোতে আসতেন। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন জ্যোতি বসু নিয়মিত এই বাংলোতে যেতেন। ১৯৬৭ সালে তৈরি হওয়া এই বনবাংলো ডুয়ার্সের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল।



আরও পড়ুন, Murshidabad: প্রতিবেশীর ঘর থেকে উদ্ধার বস্তাবন্দি শিশুকন্যার দেহ, অভিযুক্তকে গণপিটুনি স্থানীয়দের...


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)