নিজস্ব প্রতিবেদন : "ভয় পেয়েছেন দিদি। তাই ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে দাঁড়াতে চাইছেন। কিন্তু উনি যেখানেই দাঁড়ান না কেন সেখানেই উনি হারবেন।" আসন্ন বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর ঘোষণাকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন পুরশুড়ার কেলেপাড়ায় কৃষি আইনের সমর্থনে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা মহিলা মোর্চা একটি জনসভার আয়োজন করেছিল। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন অগ্নিমিত্রা পাল। আরও বলেন, "পুরশুড়া সহ রাজ্য জুড়ে মানুষ আর তৃণমূলকে চাইছে না। তারা তৃনমূলের অপশাসন থেকে পরিত্রাণ চাইছে। করোনা ভ্যাকসিনের মতো কোনও ভ্যাকসিন নিলে যদি তৃণমূলের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেত, তাহলে মানুষ তাই নিত। ভয় পেয়ে তিনি নন্দীগ্রামে দাঁড়াতে চাইছেন। যেখানেই দাঁড়ান না কেন, উনি হারবেন। ভবানীপুরে দাঁড়ালেও উনি হারবেন।"


এদিনের সভায় রাজ্যের মহিলারা  সুরক্ষিত নন বলেও তীব্র আক্রমণ করেন অগ্নিমিত্রা। উল্লেখ্য, বিজেপি এবার ভোটে 'সোনার বাংলা' গড়ার ডাক দিয়েছে। যার পাল্টা তৃণমূল নেতৃত্ব আগে 'সোনার উত্তরপ্রদেশ' গড়ার পরামর্শ দিয়েছে বিজেপিকে। উত্তরপ্রদেশকে 'রেপ ক্যাপিটাল' বলেও কটাক্ষ করেছে শাসকদল। সবমিলিয়ে ভোটের ময়দানে তৃণমূল-বিজেপি কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও নারাজ। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হলেও আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে এখনই জমে উঠেছে লড়াই। 


আরও পড়ুন, Suvendu-র সভার আগেই উত্তপ্ত খেজুরি, জখম বহু বিজেপি কর্মী


শুধু মহিলাদের সুরক্ষা ইস্যু নয়, এদিন স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, আইন-শৃঙ্খলা নিয়েও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী। অগ্নিমিত্রা পাল ছাড়াও এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ, যুব সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ, জেলা মহিলা মোর্চার নেত্রী বেবী তিওয়ারি প্রমুখ। (এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত অগ্নিমিত্রার বক্তব্যে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি তৃণমূল।)


আরও পড়ুন, বুধবার রাজ্যে কমিশনের ফুলবেঞ্চ, DM, SP-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক