'দাদা'র পর কোচবিহারে এবার রবীন্দ্রনাথ অনুগামী ১২ ব্লক সভাপতিকে সরাল দল

লোকসভা ভোটে কোচবিহারে দলের হারের কারণ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকেই দায়ী করা হয়েছে।

Updated By: Jun 8, 2019, 07:55 PM IST
'দাদা'র পর কোচবিহারে এবার রবীন্দ্রনাথ অনুগামী ১২ ব্লক সভাপতিকে সরাল দল

নিজস্ব প্রতিবেদন : কোচবিহার জেলা সভাপতির পদ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সরিয়ে দিয়েছে দল। এবার জেলার কোর কমিটি বৈঠকে সরানো হল রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের ১২ জন ব্লক সভাপতিকে। ভেঙে দেওয়া হল জেলার সব কটি ব্লক কমিটি। কোর কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এখন থেকে দলীয় বিধায়করাই নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের সব সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করবেন। আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের নব নিযুক্ত কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন ও কার্যকরী সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়। উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, মিহির গোস্বামী, উদয়ন গুহ সহ দলের আরও ৪ জন বিধায়ক।

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে কোচবিহারে দলের হারের কারণ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকেই দায়ী করা হয়েছে। আর সেকারণেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলা সভাপতির পদ থেকে। দলের অন্দরের খবর, ফল ঘোষণার পর কোচবিহারে তৃণমূলের হারের ময়নাতদন্তে বসে নেতৃত্ব। সেই ময়নাতদন্তে কোচবিহারে তৃণমূলের হারের কারণ হিসেবে উঠে আসে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ব্যর্থতা।

দলীয় রিপোর্টে উল্লেখ, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভা এলাকার মধ্যে ৫টিতেই পিছিয়ে তৃণমূল। রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিধানসভা কেন্দ্রেও খুব খারাপ ফল করেছে তৃণমূল। আরও বলা হয়, সব নেতাদের নিয়ে কাজ করেননি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। যার জন্য দলের অন্দরে অসন্তোষ জমা হয়েছিল। যার প্রতিফলন ঘটেছে লোকসভা ভোটে ইভিএমে।

আরও পড়ুন, 'পৌষমেলা একটা আবেগ', সবার সঙ্গে কথা বলে মেলা চালু রাখার আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রীর

লোকসভা ভোটে কোচবিহারে পরাজয়ের মুখ দেখেছে তৃণমূল। ঘাসফুলের হাত থেকে কোচবিহার ছিনিয়ে নিয়েছে পদ্মশিবির। ভোটের দিন মধ্যাহ্নভোজ সারতে সারতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দাবি করেছিলেন, 'মেশিনারি কাজ করেছে। আর চিন্তার কিছু নেই।' কিন্তু ফল বেরতেই দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে গোল দিয়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক।

.