জলপাইগুড়িতে হোম সুপারের বিরুদ্ধে আবাসিককে মারধরের অভিযোগ
আলিপুর দুয়ারের বাসিন্দা এক আবাসিক গত পরশুদিন দুপুরে হোম থেকে পালিয়ে যায়। ঐ আবাসিককে দেওয়াল টপকে পালাতে সাহায্য করেছে ৩ আবাসিক, এমনটাই অভিযোগ হোম সুপারের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হোম থেকে এক আবাসিককে পালাতে সাহায্য করেছে ওই হোমেরই অন্য ৩ আবাসিক। এই অছিলায় হোম সুপার-সহ ৩ কর্মী লাঠি ও উইকেট দিয়ে ওই ৩ আবাসিককে বেধরক মারধর করেছে, উঠছে এমনই অভিযোগ। ঘটনাটি জলপাইগুড়ি জুভেনাইল কোরোক হোমের। ঘটনায় ইতিমধ্যেই 'শো কজ' করা হয়েছে হোম সুপার দেবব্রত দেবনাথকে। জেলা শাসক রচনা ভগতের নির্দেশে ঘটনার তদন্তে নেমেছেন এডিএম।
আলিপুর দুয়ারের বাসিন্দা এক আবাসিক গত পরশুদিন দুপুরে হোম থেকে পালিয়ে যায়। ঐ আবাসিককে দেওয়াল টপকে পালাতে সাহায্য করেছে ৩ আবাসিক, এমনটাই অভিযোগ হোম সুপারের। এরপর ওই ৩ আবাসিককে হোম সুপার, ওয়েলফেয়ার অফিসার ও হোমের আর এক কর্মী মিলে ডেকে নিয়ে যায় একটি ঘরে। সেই ঘরে দরজা বন্ধ করে উইকেট ও মোটা লাঠি দিয়ে তাদের বেধররক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ৩ দিন ধরে চলে এই অত্যাচার।
এরপর এদিন সংবাদমাধ্যম কোরক হোমে পৌঁছতেই সাংবাদিকদের সামনে বিষয়টি বিস্তারিত জানায় ৩ 'আহত' আবাসিক। জানা যায়, গত পরশু দুপুরে ঘটনার সূত্রপাত। তার ২২ ঘন্টা পর থানায় অভিযোগ জানানো হয়। জেলাশাসক রচনা ভগতকেও বিষয়টি জানানো হয়। আর এতেই বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে হোম সুপারকে। পাশাপাশি, ঘটনার তদন্তে নিযুক্ত হয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক।
অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের তরফে হোম সুপার দেবব্রত দেবনাথকে একাধিকবার প্রশ্ন করা হলেও তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন এবং দাবি করেছেন, এসব সব মিথ্যা অভিযোগ। কিন্তু অভিযোগ যদি মিথ্যেই হয়ে থাকে, তবে আবাসিকদের গায়ে এমন কালসিটের দাগ কোথা থেকে এল তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।