মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই গোসবায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল
বর্তমানে গোসবার লাহিরিপুর, রাধানগর, তারানগর সহ আরও বিভিন্ন যায়গায় বিধায়কের জনসভা অথবা কোনও অনুষ্ঠানে দলেরই এক অংশের নেতাদের দেখা যায় না এক মঞ্চে। গোসবাতে গোষ্ঠী কোন্দল মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার আগেই শুরু হয়েছে যার জেরে অস্বস্তিতে এলাকার নেতৃত্ব।
প্রসেনজিৎ সরদার: আর কয়েকদিন পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুন্দরবনের গোসাবায় আসছে। সেখানে তিনি জনসভা করবেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তার আগেই গোসবাতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। গোসবার বিধায়ক সুব্রত মন্ডলের সঙ্গে দলেরই অপর এক অংশ জেলা পরিষদ সদস্য অনিমেষ মন্ডল, সহ প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতির মধ্যে প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল। তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে গোসবায় তৃণমূলের যে ভাবমূর্তি তা অনেকাংশে খারাপ হয়েছে তা বুঝতে পারছেন এলাকার এলাকার বাসিন্দারা।
গোসবার বিধায়ক দাবি করেন নিজেদের মধ্যেই বেশ কয়েক জন জব কার্ডের টাকা, ঘরের টাকা, খাল কাটা টাকা নিয়ে বড়লোক হয়েছে। তিনি বলেন কোটি কোটি টাকা তাদের এখন সম্পত্তি হয়ছে। তিনি আরও বলেন ঠিকাদারি এবং রাজনীতি একসঙ্গে সম্ভব নয়। কোনও দুর্যোগ আসলে সেই দুর্যোগে টাকা আত্মসাৎ করে নিয়ে ফুলে ফেঁপে ওঠা বরখাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। প্রকাশ্যে কর্মীসভায় এই কথা জানান বিধায়ক সুব্রত মন্ডল।
উল্টো দিকে দলেরই একাংশ জেলা পরিষদ সদস্য অনিমেষ মন্ডল সহ পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতিরাও মুখ খুলেছেন বিধায়ক সুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ বিধায়ক নিজে আগে পাঁচ লক্ষ টাকার মালিক ছিলেন। এরপরে ২০২১ সালে বিধায়ক হওয়ার পর থেকে এখন তিনি পাঁচ কোটি টাকার মালিক।
কোথা থেকে এই টাকা উপার্জন করছেন বিধায়ক সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেহেন সকলেই। সরকারি টাকা কারোর একার সম্পত্তি নয় বলে দাবি করে অভিযোগ করা হয়েছে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করছেন বিধায়ক। তাদের আরও অভিযোগ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলের একংশের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কথা বলছেন বিধায়ক সুব্রত মন্ডল। এইভাবেই প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।
বর্তমানে গোসবার লাহিরিপুর, রাধানগর, তারানগর সহ আরও বিভিন্ন যায়গায় বিধায়কের জনসভা অথবা কোনও অনুষ্ঠানে দলেরই এক অংশের নেতাদের দেখা যায় না এক মঞ্চে।
উল্টো দিকে জেলা পরিষদ সদস্য, অঞ্চল সভাপতি এবং এলাকার বিভিন্ন প্রধানের মিছিল এবং মিটিংয়ে বিধায়কের কোনও উপস্থিত দেখা যাচ্ছে না। গোসবাতে গোষ্ঠী কোন্দল মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার আগেই শুরু হয়েছে যার জেরে অস্বস্তিতে এলাকার নেতৃত্ব।