Mal River Flash Flood: মালবাজারকাণ্ডে নদী বিশেষজ্ঞকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ জেলাশাসকের
মাল নদীতে হড়পা বানে বিপর্যয়। প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে প্রাণ গেল শিশু-সহ ৮ জনের। 'ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকতে হবে', বললেন জেলাশাসক।
প্রদ্যুত দাস: 'ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকতে হবে'। মালবাজারকাণ্ডে যেদিন পুরসভার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হল, সেদিনই নদী বিশেষজ্ঞকে দিয়ে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা। বললেন, 'সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা খুব ভালো কাজ করেছেন'।
মাল নদীতে হড়পা বানে বিপর্যয়। প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে প্রাণ গেল শিশু-সহ ৮ জনের। নবান্ন সূত্রে খবর, বিসর্জনের আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য প্রত্যেকটি জেলার প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছিল। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, প্রতিমা নিরঞ্জনের সময়ে ঘাটে যেন বেশি লোকের জমায়েত না হয় এবং কেউ যাতে নদীর বেশি গভীরে চলে না যান, তা নিশ্চিত করতে এলাকাভিত্তিক নজরদারি চালাতে হবে। শুধু তাই নয়, মাল নদীতে হড়পা বানের আগাম সতর্কবার্তাও ছিল। তাহলে কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল? নবান্ন থেকে রিপোর্ট তলব করার পর, মালবাজারকাণ্ডে নদী বিশেষজ্ঞকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক।
আরও পড়ুন: Mal River Flash Flood: 'ম্যান মেড ডিজাস্টার, ম্যান মেড ম্যাসাকার', মালবাজারে বিস্ফোরক বিজেপি বিধায়ক
মাল নদীতে বিপর্যয়ের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মু্খ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেবে রাজ্য সরকার। আর আহতরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা। নিহত ও আহতদের একই অঙ্কের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এদিন মালবাজারে যায় ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ৭ বিধায়ক, একজন সাংসদ ও জেলা সভাপতি। মৃতের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। আহতদের দেখতে যান হাসপাতালে। ফলাকাটার বিজেপি বিধায়ক নরেশ বর্মন বলেন, 'ম্যান মেড ডিজাস্টার, ম্যান মেড ম্যাসাকার। এর সঙ্গে প্রকৃতির কোনও সম্পর্ক নেই।
ঘটনাটি ঠিক কী? তখন প্রতিমা নিরঞ্জন চলছে। দশমীর সন্ধেয় আচমকাই হড়পা বান আসে জলপাইগুড়ির মাল নদীতে। প্রবল স্রোতে ভেসে যান বহু মানুষ। অনেকে আবার সাঁতার কেটে পাড়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু নদীতে স্রোত এতটাই বেশি ছিল যে,পাড়ের দিকে এগোতে পারছিলেন না তাঁরা। এরপর রাতভর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে উদ্ধারকাজ। মালবাজার শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিলীপ পণ্ডিত। হড়পা বানে ছেলে-সহ পরিবারের দু'জনকে হারিয়েছেন তিনি। এদিন মালবাজার পুরসভার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। কেন? দিলীপ পণ্ডিতের অভিযোগ, 'বিসর্জনের আগে সতর্কতামূলক কোনও ব্যবস্থা ছিল না। প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই বিপর্যয় ঘটেছে'।