সকালের পর সন্ধেয় ফের ভাঙন ভাটপাড়ায়, তৃণমূলের নটে কার্যত মুড়োলেন অর্জুন

ভাটপাড়ায় তৃণমূলকে শেষ করার হুঙ্কার দিয়েছেন অর্জুন সিং। 

Updated By: May 28, 2019, 09:43 PM IST
সকালের পর সন্ধেয় ফের ভাঙন ভাটপাড়ায়, তৃণমূলের নটে কার্যত মুড়োলেন অর্জুন

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাটপাড়ায় সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে তৃণমূল। সকালের পর সন্ধেয় আরও ৬ তৃণমূল কাউন্সিলর যোগ দিলেন বিজেপিতে। বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে গিয়ে পদ্মপতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা। এর ফলে ভাটপাড়ায় ৩৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে মাত্র ৭জন তৃণমূলের। বাকিরাও শীঘ্রই শিবির বদলে ফেলবেন বলে দাবি করলেন অর্জুন সিং। 

এদিন সকালে অর্জুনের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন ৮ জন কাউন্সিলর। এর ফলে ৩৪ ওয়ার্ডের ভাটপাড়া পুরসভায় ১৯টি ওয়ার্ডই চলে যায় বিজেপির দখলে। সন্ধেয় আরও ৬জন নাম লেখালেন গেরুয়া দলে। সবমিলিয়ে ভাটপাড়ায় বিজেপি কাউন্সিলরের সংখ্যা দাঁড়াল ২৫। ৩৫ ওয়ার্ডের ভাটপাড়ায় একজন সিপিএম কাউন্সিলর। মৃত্যু হয়েছে একজনের। আর একজন অর্জুন সিং। যোগ-বিয়োগ হয়ে এখন তৃণমূলের হাতে থাকল মাত্র ৭ জন কাউন্সিলর। 

সপ্তাহকয়েক আগেই ভাটপাড়ায় অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। তাতে ২২টি ভোট পায় রাজ্যের শাসকদল। ফলে সরতে হয় অর্জুনকে। দলবদলকারী কাউন্সিলররা সকালেই দাবি করেছিলেন, তাঁরা আগেই বিজেপিতে যোগদান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের চাপে করতে পারেননি। তাই লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর বিজেপিতে যোগদান করলেন।

অর্জুন সিংয়ের দাবি, দলবদলকারী কাউন্সিলররা তাঁর নিজে হাতে তৈরি। ফলে বেশিদিন তাঁরা যে আমাকে ছেড়ে থাকতে পারবে না সেব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম। আমাদের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই। তৃণমূল বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে। তৃণমূল ভেঙে অর্জুন  হুঙ্কার দেন, 'তৃণমূলকে শেষ করে দেব।' 

এদিনই কাঁচরাপাড়া, হালিশহর ও নৈহাটি পুরসভার দখল নিয়েছে বিজেপি। সকালে কাঁচরাপাড়া পুরসভা ২৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৭ জন আসেন বিজেপিতে। হালিশহর পুরসভার ২৩জন কাউন্সিলরের মধ্যে চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান-সহ ১৭ জন শিবির বদল করেন। নৈহাটি পুরসভার ৩১টি ওয়ার্ড রয়েছে। তার মধ্যে ২৯জন কাউন্সিলর চলে আসেন গেরুয়া শিবিরে। ফলে অঙ্কের নিয়মে তিনটি পুরসভাতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। 

শুধু পুরসভাই নয়, ভাতারের জেলা পরিষদের সদস্য শান্তনু কোনার, খানাকুলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির নইমুল হকও শিবির বদলে ফেলেছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আরও সদস্যরা। 

মুকুল রায় দাবি করেন, বাংলায় যে পরিস্থিতি তাতে আগামী দিনে শিবির করতে হবে। তৃণমূল ছেড়ে সবাই বিজেপিতে আসবেন। যোগদান প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। এর সঙ্গে আরও বহু নেতানেত্রী যোগদানের জন্য তৈরি রয়েছেন।

 

আরও পড়ুন- জাল গোটাচ্ছে সিবিআই, হাজিরা দেওয়ার নোটিস পেলেন রাজীবের আস্থাভাজন অর্ণব ঘোষ

.