TMC Leader Warns CPM: সিপিএমের সাপগুলো বেরিয়ে এলে ওদের ফণা মুচড়ে গর্তে ঢুকিয়ে দিন, বীরভূমে নিদান তৃণমূল নেতার
নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে বর্তমানে জেরা চলছে অনুব্রত মণ্ডলের। সূত্রের খবর, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির সম্পত্তির হদিস পেতে কালঘাম ছুটছে তদন্তকারীদের। বিভিন্ন নথি ঘেঁটেও নাকি অনুব্রত মণ্ডলের নামে রয়েছে তেমন কোনও বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির হদিস মিলছে না
প্রসেনজিত্ মালাকার: গোরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে তাঁকে জেরা করছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। তৃণমূলের দাবি অনুব্রতকে নিয়ে আইন আইনের পথে চলবে তবে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলি নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে না। এরই প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেরকমই এক সভায় বিরোধীদের প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের দুই নেতা। শনিবার বীরভূমের মুরারইয়ের নতুন বাজারে তৃণমূলের একটি সভা চলছিল। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা সুজয় দাস সরাসরি হুমকি দেন সিপিএমকে। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুজয় বলেন, সিবিএমের বিষাক্ত সাপগুলো এতদিন গর্তে ঢুকেছিল। আবার তারা বেরিয়ে আসছে। বন্ধু, সাবধানে থাকবেন। বুথে বুথে যদি সাপগুলো ফণা তুলে বেরিয়ে আসে তাহলে সেই ফণা মুচড়ে ফের গর্তে ঢুকিয়ে দিন। অনুব্রত মণ্ডলকে যারা জুতো দেখাচ্ছেন তারা জুতোগুলো সাবধানে রেখে দিন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে সেই জুতো আপনাদের গালে মারা হবে।
অন্যদিকে, এদিন বীরভূমের নানুরের দেবগ্রামে দাসকল গ্রাম কড়েয়া ১ ও দাসকল গ্রাম কড়েয়া ২ অঞ্চলে প্রতিবাদ মিছিল চলে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, নানুরের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, নানুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মধুসূদন পাল ও অন্যান্য তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। নানুর ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, বামফ্রন্টের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। আপনারা কিছু মানুষ রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকলে লুকিয়ে লুকিয়ে নয় কোনও একটা জায়গায় আপনাদের পছন্দমত যে কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা টাঙ্গিয়ে আসুন। রাজনৈতিক লড়াই হোক। কিছুদিনের মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ক্যান্ডিডেট দিন। জিতলে আপনাদের কথা শুনব। জিততে না পারলে আপনাদের কিন্তু গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে বর্তমানে জেরা চলছে অনুব্রত মণ্ডলের। সূত্রের খবর, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির সম্পত্তির হদিস পেতে কালঘাম ছুটছে তদন্তকারীদের। বিভিন্ন নথি ঘেঁটেও নাকি অনুব্রত মণ্ডলের নামে রয়েছে তেমন কোনও বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির হদিস মিলছে না। বরং তদন্তে সিবিআইআধিকারিকরা আরও জানতে পেরেছেন, অনুব্রত মণ্ডলের যে সব সম্পত্তি রয়েছে তার বেশির ভাগটাই রয়েছে বেনামে। অনুব্রত প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, গোরুপাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হককে জেরা করে যেসব তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার ভিত্তিতেই অনুব্রতর বিরুদ্ধে প্রশ্নমালা তৈরি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়ান্দা সংস্থা জানতে পেরেছে বোলপুরের যে বাড়িতে অনুব্রত থাকেন সেটি তাঁর পৈত্রিক ভিটে। তাঁর কাছে বিপুল অঙ্কের টাকা এখনও পাওয়া য়ায়নি। প্রশ্ন উঠছে তাহলে স্ত্রীর ক্যান্সার চিকিত্সার জন্য বিপুর খরচ তিনি করলেন কোথা থেকে? তাহলে কি কেউ সেই টাকার জোগান দিয়েছিল?