Banjara Gang: পুরুলিয়ায় খুনের পর গোপীবল্লভপুরে হানা বানজারা গ্যাংয়ের, লক্ষাধিক টাকার গহনা-সহ ধৃত ২ কিশোরী
স্থানীয়দের দাবি, সোমবার ওই দুই কিশোরী আসনবনি গ্রামে নির্মল ঘোষ নামে একজনের বাড়িতে ভিক্ষে করতে আসে। ভিক্ষে দেওয়ার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান নির্মলবাবুর স্ত্রী। বাড়ির বাইরে থেকে তা লক্ষ্য করে ওই দুজন। পরে তারা বাড়ি ফাঁকা থাকার সুয়োগ নিয়ে ঘরে ঢুকে গহনা ও টাকা নিয়ে চম্পট দেয়
সৌরভ চৌধুরী: জঙ্গলমহলে ফের বানজারা গ্যাং। জুলাই মাসের প্রথম দিকে বানজারা গ্য়াংয়ের হাতে পড়ে পুরুলিয়ায় খুন হন বাবা ও ছেলে। এবার ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে গ্রামবাসীদের হাতে লক্ষাধিক টাকার গহনা ও নগদ-সহ ধরা পড়ল বানজারা গ্যাংয়ের ২ কিশোরী। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের একটি বাড়িতে ভিক্ষে করতে এসে ওই গহনা ও ১০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুই কিশোরী। বাড়ির লোকজন বুঝতে পেরেই পাড়ায় খবর দেন। প্রায় ২ কিলোমিটার ধাওয়া করে ওই ২ কিশোরীকে গহনা ও টাকা সমেত ধরল গ্রামবাসী। সোমবার সকালে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের আসনবনী গ্রাম। এনিয়ে হইচই পড়ে যায় গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন-আরোগ্য সেতু অ্যাপ অচল, উধাও বিপুল পরিমাণ তথ্য! আপনি নিরাপদ তো?
স্থানীয়দের দাবি, সোমবার ওই দুই কিশোরী আসনবনি গ্রামে নির্মল ঘোষ নামে একজনের বাড়িতে ভিক্ষে করতে আসে। ভিক্ষে দেওয়ার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান নির্মলবাবুর স্ত্রী। বাড়ির বাইরে থেকে তা লক্ষ্য করে ওই দুজন। পরে তারা বাড়ি ফাঁকা থাকার সুয়োগ নিয়ে ঘরে ঢুকে গহনা ও টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
নির্মলবাবুর স্ত্রী ঘরে ফিরে দেখেন ঘরের জিনিসপত্র ওলটপালট হয়ে পড়ে রয়েছে। দেখেই সন্দেহ হয় তার। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তা বলেন পাড়ার লোকজনকে। খোঁজ শুরু হয় দুই কিশোরীর। গ্রামের লোকজন ছুটে গিয়ে ২-৩টি গ্রাম পেরিয়ে পাঁচকাহানিয়া এলাকায় ওই দুই কিশোরীকে আটক করে। তাদের আটক করে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে পড়ে সোনার গহন ও নগদ। খবর দেওয়া হয় গোপীবল্লভপুর থানায়। পুলিস এসে দুই কিশোরীকে নিয়ে যায়।
জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে পুরুলিয়ার কানালী গ্রামে কাজ থেকে ফেরার পথে খুন হন মাদন পাণ্ডে ও তাঁর ছেলে কানাই পাণ্ডে। তাদের কাছে থাকা ১২ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে পালায় বানজারা গ্য়াংয়ের দুষ্কৃতীরা। তাদের বাইকটিও নিখোঁজ হয়ে যায়। পুলিসের হাতে কোনও সূত্র ছিল না। শুধুমাত্র চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে আসানসোলের বারাবনি এলাকা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি ও পুরুলিয়া পুলিসের একটি দল।
জোড়া খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুরুলিয়া থেকে জামশেদপুর গামী হাইওয়ের টোলপ্লাজাগুলির সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে শুরু করে পুলিস। তখনই বেশকিছু সূত্র তাদের হাতে আসে। সেই সূত্র কাজে লাগিয়ে পুলিস জানতে পারে বারাবনিতে ফিরেছে অভিযুক্তরা। তখনই তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃত মাণ্ডিল বেদ, মোনাই বেদ ও দীনেশ পাশি। মাণ্ডিল এবং মোনই দুই ভাই। বাড়ি ধানবাদে। এদের জেরা করে পুলিস জানতে পারে দল বেঁধে থেকে লুটপাঠ করাই তাদের পেশা। বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে তারা কাজ করে। অপারেশন শেষ করার পর দ্রুত সেই জায়গা ছেড়ে পালিয়ে যায়।