আবাসনের স্টোররুম থেকে নিখোঁজ তরুণীর বাক্সবন্দি দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার ব্যাঙ্ককর্মী দম্পত
তখনও অনেকেই বোঝেননি প্লাস্টিকের মোড়ানো অবস্থায় কী ছিল। প্লাস্টিক খুলতেই বেরিয়ে পড়ে আসল রহস্য। উদ্ধার হয় দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে মিলল বাঁকুড়ার নিখোঁজ তরুণীর বাক্সবন্দি দেহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আবাসনের নিচে স্টোররুমের মুখে রাখা বাক্সটি পথচলতি মানুষদের নজরে এসেছিল সকালেই। কিন্তু, অনেকেই ভেবেছিলেন, আবাসনের কোনও বাসিন্দার ফেলে দেওয়া জিনিস হয়তো। প্রথমটায় খুব একটা বেশি আমল দিতে চাননি কেউই। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ হয়ে যাওয়ার পর যখন, কেউ বাক্সটা নেননি, তখনই খবর যায় পুলিসে। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিস এসেই বাক্সটি খোলে। ভোটকা গন্ধে তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সকলের প্রাণ ওষ্ঠাগত। তখনও অনেকেই বোঝেননি প্লাস্টিকের মোড়ানো অবস্থায় কী ছিল। প্লাস্টিক খুলতেই বেরিয়ে পড়ে আসল রহস্য। উদ্ধার হয় দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে মিলল বাঁকুড়ার নিখোঁজ তরুণীর বাক্সবন্দি দেহ। মৃতের নাম শিল্পা আগরওয়াল। তদন্তে নেমে পুলিসের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন: রেললাইনে ট্রাক্টরে মালগাড়ির ধাক্কা, সাতসকালেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা
জানা যায়, শনিবার মেজিয়া থেকে মাসির বাড়ি যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিলেন বছর আঠাশের শিল্পা আগরওয়াল। তারপর থেকে তরুণীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের তরফে থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। সেই সূত্র ধরেই তদন্তে নামে পুলিস। তরুণীর শেষ মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ছিল দুর্গাপুরের নইম নগর। সেই সূত্র ধরেই শিল্পার খোজ চালাচ্ছিল পুলিস। জানা গেছে ওই আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে এসেছিলেন শিল্পা আগরওয়াল।
আরও পড়ুন: বাবাকে বঁটির কোপ মদ্যপ ছেলের
প্রতিবেশীরা জানান, যে ফ্ল্যাটে শিল্পা এসেছিলেন, তাতে রাজীব কুমার এবং মণিশা কুমারী এক দম্পতি থাকেন। দুজনেই তরুণীর পরিচিত বলে দাবি শিল্পার পরিবারের। রাজীব কুমার SBI-এর মেজিয়া শাখার ম্যানেজার। স্ত্রী মণিশা ই ব্যাঙ্কেরই কর্মী। মৃত তরুণী ছিলেন ওই ব্যাঙ্কের কাস্টোমার রিলেশনস অফিসার। দম্পতিকে আটক করেছে পুলিস। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
তবে এই ঘটনার নেপথ্যে ত্রিকোণ প্রেমের কোনও ব্যাপার রয়েছে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। খুনের আগে ওই তরুণীকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছিল নাকি, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। রাষ্ট্রয়াত্ত্ব ব্যাঙ্ককর্মী দম্পতিই সব রহস্যের সূত্র বাতলে দেবে বলে মনে করছে পুলিস। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।