Bankura: কংসাবতী জলাধারে কত পরিযায়ী পাখি? মুকুটমণিপুরে শুরু পাখিসুমারি...
Bankura Mukutmanipur Bird Census: প্রতি বছর শীতের দিনে দেশ-বিদেশের অসংখ্য পরিযায়ী পাখি মুকুটমণিপুরে আসে। শীতশেষে ফিরেও যায় তারা। কিন্তু কত পাখি আসে, তার একটা হিসেব পরিবেশপ্রেমীদের পক্ষে খুবই জরুরি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রতি বছর শীতের দিনে দেশ-বিদেশের অসংখ্য পরিযায়ী পাখি মুকুটমণিপুরে আসে। শীতশেষে ফিরেও যায় তারা। কিন্তু কত পাখি আসে, তার একটা হিসেব পরিবেশপ্রেমীদের পক্ষে খুবই জরুরি। তাই শীতকালে বাঁকুড়ার ওই জলাধারে পাখিদের অবস্থান নিয়ে শুরু হয়েছে খোঁজতালাশি।
আরও পড়ুন: Ram Lalla Daily Routine: কখন ঘুম থেকে ওঠেন? কী খান ব্রেকফাস্টে? জেনে নিন, রামলালার ডেইলি রুটিন...
বেশ কয়েক বছর ধরেই মুকুটমণিপুরের কংসাবতী জলাধারে এই পরিযায়ী পাখি গণণার কাজ শুরু হয়েছে। বন দফতরকে এই কাজে সহযোগিতা করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'গ্রিন প্ল্যাটু'। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে মুকুটমণিপুর জলাধারে নৌকোয় চেপে শুরু করা হয় এই গণনার কাজ। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার এডিএফও অসিতকুমার দাস, খাতড়ার রেঞ্জার সীতারাম দাস-সহ বন দফতরের অন্যান্য আধিকারিকেরা। এদিনের গণনায় প্রায় ১২ রকম প্রজাতির পাখির খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছে 'গ্রিন প্ল্যাটু'।
প্রশাসনসূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যটনকেন্দ্র মুকুটমণিপুরকে ঘিরে একটা 'বার্ড ওয়াচিং ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার' গড়ে তুলতে চায় বন দফতর। সেই লক্ষ্যেই গত কয়েক বছর ধরে এই পক্ষীগণনার কাজ শুরু করছে বন দফতর। এদিন কংসাবতী জলাধারে সরাল, রাঙামুড়ি, বালিহাঁস-সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Hooghly: হাঁস 'খুন'! ময়না তদন্তের জন্য কলকাতায় পাঠানো হল ইতির পোষ্য...
তবে পক্ষীগণনাকারী ওই সংস্থার দাবি, বিগত বছরের তুলনায় এবছর মুকুটমণিপুরে আসা পাখির সংখ্যা বেশ কম। আগে আসত, কিন্তু এখন যেসব পরিযায়ী পাখির সন্ধান আর মিলছে না কংসাবতীর জলাধারে তা নিয়েও চিন্তিত বন দফতর এবং ওই সংস্থা। কেন নির্দিষ্ট ওই পাখিরা আসছে না, তার কারণ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি স্থানীয় মানুষজনদের মধ্যে পাখি নিয়ে সচেতনতাও গড়ে তোলা হবে বলে জানায় বন দফতর।