বিক্রম দাস: বারুইপুরে প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিকের রহস্যমৃত্যুতে নয়া মোড়। সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় উজ্জ্বল চক্রবর্তী নামে ওই প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিককে। শ্বাসরোধ করে খুনের পর অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম দিয়ে আঘাত করা হয়। অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম দিয়ে আঘাতেই খণ্ডবিখণ্ড করা হয় দেহ। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর প্রাথমিক অনুমান এমনটাই। পুলিস সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। ওদিকে দেহের বেশ কিছু অংশের এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। রাতভরও চলে তল্লাশি।
বৃহস্পতিবার রাতে বারুইপুর-মল্লিকপুর রোডের ডিহি এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় উজ্জ্বল চক্রবর্তীর অর্ধেক দেহ। ঘটনার খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দেহাবশেষ উদ্ধার করে। কিন্তু ৫৪ বছর বয়সী ওই প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিকের দুটি হাত ও কোমরের নীচ থেকে শরীরের বাকি অংশের কোনও খোঁজ মেলেনি তখন। মৃতদেহের মুখও প্লাস্টিক দিয়ে আটকানো ছিল। কে বা কারা প্রাক্তন নৌসেনাকে খুন করল? তা এখনও জানা যায়নি। খুনের কারণ নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। গোটা ঘটনায় ধন্দে পুলিস। ঘটনার তদন্ত করছে বারুইপুর থানার পুলিস।
আরও পড়ুন, Jalpaiguri: ৫ টাকার লোভ দেখিয়ে শিশুকে জোর করে কেঁচো খাওয়ায় কিশোর, ভিডিয়ো করে পোস্ট সোশ্যালে!
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন উজ্জ্বল চক্রবর্তী। আগে নৌসেনা বাহিনীতে কর্মরত থাকলেও বর্তমানে তিনি একটি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। ১৪ নভেম্বর কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পর বেড়িয়ে আর ফেরেননি। তাঁর নেশা করার অভ্যাস ছিল। প্রতিদিনই সন্ধ্যায় তিনি বেরতেন। কিন্তু ১৪ তারিখ বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। এরপরই পরিবারের সদস্যরা বারুইপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তারপর বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হয় দেহাবশেষ। প্রতিবেশী এক পরিবারের সাথে কিছুদিন আগেই উজ্জ্বল চক্রবর্তীর অশান্তি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। খুনের সঙ্গে সেই ঘটনার কোনও যোগসূত্র আছে কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়। সবদিক খতিয়ে দেখেই তদন্ত করছে পুলিস।
অস্ত্রোপচারের সরঞ্জামেই খণ্ডবিখণ্ড দেহ! প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিকের খুনে ঘনীভূত রহস্য