Baruni Snan: বহু গঙ্গাস্নানের ফললাভ, লহমায় পাপমুক্তি! ঐতিহ্যবাহী বারুণীস্নানমেলায় জনসমুদ্র...

Baruni Snan: জলপাইগুড়ির মোহিতনগরের গৌরীহাটে ঐতিহ্যবাহী বারুণী স্নান মেলা এবার ৮২ তম বছরে পদার্পণ করল। প্রতি বছরের মতো এবারও বহু মানুষ এই বারুণী মেলা ও স্নানে অংশগ্রহণ করছেন। চৈত্রের কৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথি বারুণী নামে পরিচিত। এই তিথিতে স্নান করলে বহুশত গঙ্গাস্নানের ফললাভ হয়।

Edited By: সৌমিত্র সেন | Updated By: Apr 6, 2024, 07:41 PM IST
Baruni Snan: বহু গঙ্গাস্নানের ফললাভ, লহমায় পাপমুক্তি! ঐতিহ্যবাহী বারুণীস্নানমেলায় জনসমুদ্র...

প্রদ্যুত দাস: গৌরীহাটের উত্তরবাহী করলা নদীর তীরে প্রাচীনকাল থেকেই বারুণী স্নান করতে আসেন বিভিন্ন এলাকার পুণ্যার্থীরা‌। এই জনসমাগমকে কেন্দ্র করে এখানে বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়। এবার‌ও সাতদিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করেছেন স্থানীয় উদ্যোক্তারা। মূলত উত্তরমুখী এই করলা নদীতে স্নান করে পুণ্য অর্জনের জন্য এদিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে আসেন পুণ্যার্থীরা। 

আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী, আর উত্তরে শিলাবৃষ্টি! দহনজ্বালা থেকে তবে কি মুক্তি?

আজ, শনিবার থেকে শুরু হ‌ওয়া এই বারুণী‌ মেলা চলবে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে বারুণী স্নান হবে মূলত‌ দু'দিন ধরে। উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী বারুণী মেলা‌ বলা‌ হয় গৌরীহাটের এই মেলাকে‌। এদিন সকাল‌ থেকেই স্নানে অংশগ্রহণ করেন অসংখ্য পুণ্যার্থী‌। নদীতে স্নানের‌ পর মন্দিরে পুজো দিয়ে চিরাচরিত ভাবে দই চিঁড়ে খেয়ে‌ থাকেন‌ সমস্ত পুণ্যার্থী‌।

জলপাইগুড়ির মোহিতনগরের গৌরীহাটে ঐতিহ্যবাহী বারুণী মেলা স্নান এবার ৮২ তম বছরে পদার্পণ করেছে। প্রতি বছরের মতো এবারও বহু মানুষ বারুণী মেলা ও স্নানে অংশগ্রহণ করছেন।

কী এই বারুণী স্নান? 

স্কন্দ পুরাণে আছে, চৈত্রমাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে শতভিষা নক্ষত্র যোগ হলে সেই তিথি বারুণী নামে পরিচিত। এই তিথিতে স্নান করলে বহুশত গঙ্গাস্নানের যে ফল সেই ফল লাভ হয়। গঙ্গার অপর নাম বারুণী। বারুণীস্নান গঙ্গাস্নানেরই সমান। প্রতি চৈত্র মাসের শতভিষা নক্ষত্রযুক্ত মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে এই স্নান অনুষ্ঠিত হয়। শাস্ত্রমতে, কোনও বছর যদি ওই দিনটি শনিবার হয়, তবে ওই বারুণী স্নান অসাধারণত্ব লাভ করে। সেটি মহা বারুণী স্নান রূপে পরিগণিত হয়।

আরও পড়ুন: Crosby-Schoyen Codex: ৪০ বছর ধরে লেখা হয়েছিল ১০৪ পৃষ্ঠার বই, বিক্রি হতে চলেছে প্রায় ৪০ লক্ষ ডলারে...

বিশ্বাস, এই জীবজগৎ যে-পঙ্কের মধ্যে নিমজ্জিত, পাপাচারে পূর্ণ, ক্লেদাক্ত-- এই স্নানের ফলে তা থেকে মুক্ত হওয়া যায়। দক্ষিণে কপিলমুনিতে ঠিক কবে থেকে বারুণী মেলার আয়োজন হয়ে আসছে, তা হিসেব করা কঠিন। জনশ্রুতি, পুন্যাত্মা কপিল কোনও এক সময় সাধনায় সিদ্ধিলাভের জন্য কপোতাক্ষতীরে সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির স্থাপন করেন এবং সেখানে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় আদ্যাশক্তির সাক্ষৎ পান। তিনি সেখানে সেদিন গঙ্গাকে কপোতাক্ষের সঙ্গে মিলিত করেন। সময়টি ছিল চৈত্র মাসের শতভিষা নক্ষত্রযুক্ত মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী। আর তারপর থেকেই এখানে বারুণী স্নানের রীতি প্রচলিত।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.