Basanti: পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে, প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে সমস্যার সমাধান বিডিও-র

এমন মানুষকে দেখে অনেকেই চিনতে পারছেন না তিনি কে। কেউ কেউ মন্তব্য করছেন, ‘বার্ধক্য ভাতা কিংবা বিধবা ভাতার জন্য একাধিকবার ব্লক অফিসে গিয়েছি কাজের কাজ কিছুই হয়নি’।

Updated By: Feb 22, 2024, 01:06 PM IST
Basanti: পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে, প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে সমস্যার সমাধান বিডিও-র

প্রসেনজিৎ সর্দার: পায়ে হেঁটে কখনও বা সাইকেল চালিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে মানুষের কথা শুনছেন খোদ বিডিও। সঙ্গেই চলছে চট জলদি চলছে সমাধানও।

ঘড়ির কাঁটা তখন সকাল ৮টা। সাইকেল চালিয়ে বাসন্তী ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে গিয়ে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ, চাওয়া পাওয়ার খোঁজখবর নিচ্ছেন তিনি। কখনও যক্ষ্মা রোগীর বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন, সরকারী পরিষেবা পাওয়ার বিষয়ে । কখনও আবার অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে ঘুরে দেখছেন, সেখানে শিশুদের খাবারের গুণগত মান ঠিক রয়েছে কি না।

এমন মানুষকে দেখে অনেকেই চিনতে পারছেন না তিনি কে। কেউ কেউ মন্তব্য করছেন, ‘বার্ধক্য ভাতা কিংবা বিধবা ভাতার জন্য একাধিকবার ব্লক অফিসে গিয়েছি কাজের কাজ কিছুই হয়নি’।

আরও পড়ুন: Bankura News: তৃণমূলের 'খেলা হবে' স্লোগান চুরি করে 'ফুটবল মহাকুম্ভ' কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

জানা গিয়েছে বিডিও নিজে ঘুরছেন এমন খবর এলাকায় চাউর হতেই বাসন্তী ব্লক অফিসে প্রতিদিনই সাধারণ মানুষের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। এমনকি যে সমস্যার জন্য দীর্ঘ ১০ কিংবা ১৫ বছর দৌড়ঝাঁপ করেও সমস্যা মেটেনি, সেই সমস্যা মিটে যাচ্ছে দুই কিংবা তিন দিনেই এই কথাও বলা হচ্ছে।

নতুন বিডিও-র এমন মানবিক উদ্যোগ জনসমকক্ষে আসতেই সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা প্রশংসা করছেন।

আরও পড়ুন: North Bengal Offbeat Destination: থাকা-খাওয়ার খরচ মাত্র ১২০০ টাকা! পাহাড়ের বুকে নদীর কোলে নয়া অফবিট ডেস্টিনেশনের খোঁজ...

বাসন্তী ব্লকের কয়েকটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিরা জানিয়েছে, ‘প্রায় প্রতিদিনই সকালে কোনও না কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। সমস্যা থাকলে তা সমাধানের পথ বলে দিচ্ছেন। আমাদের বিভিন্ন সময়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তারজন্য সিডিপিও কিংবা বিডিও-কে জানানোর জন্য অফিসে যেতে হতো। আর বর্তমানে খোদ বিডিও সাহেব আমাদের কেন্দ্র হাজির হয়ে সুবিধা অসুবিধার কথা জানতে চাইছেন। বিডিও সাহেবের এমন উদ্যোগ তুলনা হয় না’।

এই প্রসঙ্গে বাসন্তী-র বিডিও সঞ্জীব সরকারকে জিঞ্জাসা করা হলে তিনি বলেছেন, ‘ব্লক উন্নয়ণ আধিকারীক হয়ে যদি সাধারন মানুষের সুখ দুঃখ না বুঝতে পারি তাহলে উন্নয়ণ হবে কী করে। ফলে আমি আমার মতো করে সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখের কথা জানতে প্রায় প্রতিদিনই সকালে একাই বেরিয়ে পড়ি। কখনও পায়ে হেঁটে আবার কখনও বা ১০-১২ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে পৌঁছে যাই গ্রামের মানুষের কাছে। এটা আমার নিত্যদিনের রুটিন। এক প্রকার এটা আমার কর্তব্য। তারপর অফিসে গিয়েই সমস্ত সমস্যার সমাধানের উপায় বের করে সমাধান করার চেষ্টা করি’।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 

.