অমিত-সঙ্গের পরে হঠাৎই ঘরের 'বন্ধু' বিভীষণ!
বিভীষণ যেন 'ঘরের শত্রু' না হয়ে যান!
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিভীষণ তুমি কার?
হঠাৎই বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামের বিভীষণ হাঁসদার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ভাবিত হয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যরাজনীতি।
হবে না কেন? এই বিভীষণ কি শুধু বাঁকুড়ার একজন প্রান্তিক চাষি নাকি! তিনি যে স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর 'হোস্ট'! ৫ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিভীষণের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন। ব্যস! তার পরেই রাতারাতি বিভীষণ একেবারে যেন লঙ্কাকাণ্ডের মধ্যে পড়ে গিয়েছেন।
হু'জ হু-রা তাঁর বাড়িতে চলে যাচ্ছেন তাঁর খোঁজ-খবর নিতে। দিচ্ছেন সাহায্যের আশ্বাস। নতুন উপহারের ডালি নিয়ে বিভীষণের বাড়িতে চলে গিয়েছে বিজেপি, তৃণমূল ও রাজ্য প্রশাসন!
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাঁকুড়া থেকে ফেরার পরই বিভীষণের বাড়িতে যান জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য সোনাই মুখার্জী। আজ, রবিবার সকালে বিভীষণের বাড়ি গিয়ে তাঁর মেয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া ও হাঁসদা পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। তিনি বিভীষণের বাড়ি থেকে বের হতেই হাজির হন বাঁকুড়া ১-এর বিডিও বিপ্লবকুমার রায়। তিনিও পরিবারটির পাশে থাকা ও বিভীষণের মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।
অথচ এতদিন বিভীষণ খুবই কষ্টে কাটিয়েছেন। নিজে প্রান্তিক চাষি। কতটুকুই-বা রোজগার! এর ওপর তাঁর ক্লাস ইলেভেনে পড়া মেয়ে আবার বেশ কয়েক বছর ধরে রক্তের এক জটিল অসুখে ভুগছে। টানাটানি ও উদ্বেগের মধ্যেই দিন কাটে তাঁর।
এখন হঠাৎ কী হল?
কী আর হবে? নিছক রাজনীতি। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, রাজনীতিরই শিকার হয়েছেন বিভীষণ। সব পক্ষই তাঁকে বলতে চাইছেন-- তুমি , আমাদেরই লোক! রামায়ণে বিভীষণের অবস্থান নিয়ে একটা সময়ে ধন্দে পড়েছিল রাম-রাবণ দুই শিবিরই। পরে অবশ্য পুরাণের বিভীষণ রামের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে সেই ধন্দ ঘোচান। এই বিভীষণ কি সে রকমই কিছু একটা করবেন?
বিভীষণ নিজে অবশ্য এ সব রাজনৈতিক দড়ি টানাটানির মাঝে যেতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী নন। বিভিন্ন দল ও প্রশাসন যেভাবে তাঁর সাহায্যে এগিয়ে এসেছে তাতে তিনি খুশি।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে এতদিন তা হলে উপেক্ষিত থাকল কেন বিভীষণের দুঃস্থ পরিবার?
আরও পড়ুন: শব্দজব্দ! 'উওম্যান' শব্দের সংজ্ঞাই বদলে নিল অক্সফোর্ড!