সোমেন মিত্রের মৃত্যুতে ধাক্কা দিল জোট রাজনীতি, মানছেন বিমান
আর এই সংঘবদ্ধ লড়াইয়ে কংগ্রেসের হাত বামপন্থীদের দিকে বাড়িয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র
নিজস্ব প্রতিবেদন: জোট রাজনীতি নিয়ে দোলাচলে থাকলে শেষ পর্যন্ত এই পথে হাঁটতে সায় দিয়েছিলেন প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। আশানরূপ ফল না হলেও ভিন্ন আদর্শে থাকা মানুষগুলিকে এক সুঁতোয় বেঁধে ভোটের ময়দানে নামার অন্যতম কারিগর ছিলেন সোমেন মিত্র। আজ তাঁর চলে যাওয়ায় জোট রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো বলে মেনে নিচ্ছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।
আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে এই মুহূর্তে বাংলায় অস্তিত্বের সংকটে কংগ্রেস এবং বামপন্থী দলগুলোর। সেই কথা মাথায় রেখে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের একবছর আগেই একসঙ্গে পথচলা শুরু করে কংগ্রেস এবং বাম। উদ্দেশ্য তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ লড়াই করে বাংলার রাজনীতিতে জমি শক্ত করা।
আর এই সংঘবদ্ধ লড়াইয়ে কংগ্রেসের হাত বামপন্থীদের দিকে বাড়িয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। এই জোট যখন রাজ্য রাজনীতিতে দানা বাঁধতে শুরু করেছে, তখনই বড় ধাক্কা। চলে গেলেন সোমেন মিত্র। প্রদেশ সভাপতির চলে যাওয়া কংগ্রেস-বামপন্থীর যৌথ রাজনৈতিক সমীকরণে বড় ক্ষতি। স্বীকার করেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।
আরও পড়ুন- প্রিয় নেই, চলে গেলেন সোমেনও, 'দুর্দিনের বন্ধুর' কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে এলো সুব্রতর
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিমান বসু জানান, তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী সমস্ত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে কংগ্রেস পার্টিকে সামিল করতে চেয়েছিলেন সোমেন মিত্র। এই দুটি দলের নীতির বিরুদ্ধে আমাদের যৌথ লড়াই শুরু হয়েছিল। কিন্তু সোমেনবাবুর মৃত্যুতে সেই প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও ধাক্কা খেল। তাঁর এখনও মরার বয়স হয়নি। এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। জোটের তো ক্ষতি হলই, সেইসঙ্গে বড় ক্ষতি হল কংগ্রেসের। আমাদের এখন লক্ষ্য থাকবে সোমেনবাবুর সহযোগিতা নিয়ে বাংলায় যে রাজনৈতিক সমীকরণ শুরু হয়েছে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সোমেন মিত্রের অবর্তমানে জোট রাজনীতি গতিপথ কতটা মসৃণ থাকে তারদিকে তাকিয়ে বাংলার মানুষ।