"আমরা কোন BJP?", গাইঘাটায় প্রকাশ্যে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব!

BJP-র দাবি, "এটা তৃণমূল (TMC) করেছে। কোনও দ্বন্দ্ব নেই।" তৃণমূলের দাবি, "পুরনো BJP কর্মী ও নেতারা জায়গা পাচ্ছেন না। তাঁরা তৃণমূলে (TMC) ফিরছেন।"

Updated By: Dec 22, 2020, 12:43 PM IST
"আমরা কোন BJP?", গাইঘাটায় প্রকাশ্যে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব!

নিজস্ব প্রতিবেদন : একের পর এক পোস্টারে ছয়লাপ এলাকা। আর সেইসব পোস্টারেই স্পষ্ট ইঙ্গিত BJP-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের। পোস্টারে কোথাও লেখা, "আমরা কোন বিজেপি?"। আবার কোথাও লেখা, "যাদেরকে আমরা চোর বলেছিলাম, তারাই আজ বিজেপির সম্পদ।" কোথাওবা লেখা, "দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ডল সভাপতি দূর হটো।" এমন একাধিক পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার (Gaighata) যোগদান মেলার মাঠ। সব পোস্টারেরই নীচে লেখা "সৌজন্যে আদি বিজেপি।" আর এর থেকেই স্পষ্ট আদি ও নব্য BJP-র মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দলের ছবিটা। 

মঙ্গলবার সকালে গাইঘাটা (Gaighata) বাজারে যোগদান মেলার মাঠে পোস্টারগুলি দেখতে পাওয়া যায়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ বিজেপির (BJP) বারাসত সাংগঠনিক জেলার যোগদান মেলা হওয়ার কথা। আসার কথা রয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta) ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের (Samik Bhattacharya)। দুপুরে বিভিন্ন দল থেকে কর্মী-সমর্থকদের এই মঞ্চে বিজেপিতে যোগদান করার কথা রয়েছে। তার আগেই এদিন সকালে সভামঞ্চের উপরে এবং মাঠে একাধিক পোস্টার দেখা যায়। উল্লেখ্য, এর আগেও গাইঘাটা (Gaighata) এলাকায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল। ফের এদিন 'আদি বিজেপি'র নামে পোস্টার পড়ল! ওয়াকিবহল মহলের মতে, আবারও প্রকাশ্যে চলে এল গাইঘাটায় আদি ও নব্য বিজেপির (BJP) মধ্যে দ্বন্দ্ব।

যদিও গাইঘাটা বিধানসভার বিজেপির (BJP) কো-কনভেনার রাজকুমার মিত্রের দাবি, "এটা তৃণমূল (TMC) করেছে। যেহেতু এখন তৃণমূলের (TMC) হেভিওয়েট নেতারা দলত্যাগ করে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করছেন এবং আজও গাইঘাটার তৃণমূল (TMC) ও সিপিআইএম-এর (CPIM) অনেক কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করবেন, সেই কারণে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাধানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। গাইঘাটা এলাকায় আদি বা নব্য বিজেপি, এমন কোনও দ্বন্দ্ব নেই।"

অন্যদিকে এ বিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল (TMC) যুব সহ-সভাপতি অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, "বিজেপি (BJP) এখন তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতায় ভরে গিয়েছে। ফলে পুরনো কর্মী ও নেতারা জায়গা পাচ্ছেন না। সম্প্রতি পুরনো বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলে ফিরছেন। আগামী দিনে বিজেপির আরও অনেক পুরনো কর্মী ও নেতারা আমাদের দলে আসবেন। গাইঘাটায় যেটা ঘটেছে, সেটা আদি ও নব্য বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।"

আরও পড়ুন, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) 'হাত' ধরতে পারে কে কে? 'জল মাপতে' আগামিকাল বৈঠকে মালদা TMC জেলা কমিটি

BJPর গোষ্ঠীকোন্দলে ধুন্ধুমার! Suvenduর অনুগামীদের মারধর, সহায়তা কেন্দ্র ভাঙচুরের অভিযোগ

.