'BJP বদলও আনবে, বদলাও নেবে... চায়না ট্রলিতে অনুব্রতকে বেঁধে পিছনে রোলার চালানো হবে'
জয়প্রকাশ মজুমদার তোপ দাগেন, "শিব ঠাকুরের আপন দেশে আইন কানুন সর্বনেশে। বিজেপির জন্য এক আইন তৃণমূলের জন্য আর এক আইন।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপি ডাকে আজ জেলাজুড়ে পালিত হচ্ছে 'গণতন্ত্র বাঁচাও' কর্মসূচি। ধরনায় সামিল হয়েছেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। বহু জায়গাতেই বিজেপির ধরনা মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিসের বিরুদ্ধে। চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক, রাজ্যের সামগ্রিক অবস্থাটা-
রামপুরহাট-
পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও । গনতন্ত্র বাঁচাও । এই দাবিতে বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে মঞ্চ তৈরি করে ধরনায় বসেন বিজেপির কর্মী, সমর্থকেরা । এদিনের ধরনায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল, বিজেপি যুব মোর্চার বীরভূম জেলা সভাপতি শান্তনু মণ্ডল, জেলা কমিটির সম্পাদিকা শ্রাবন্তী ব্যানার্জি, রামপুরহাটের মহিলা মোর্চার সভানেত্রী রশ্মি দে সহ কয়েকশো বিজেপি কর্মী ও সমর্থক। বিজেপির বীরভূম জেলা কমিটির সদস্য মানস বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এই ধরনা মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি দেন, "২০২১ সালে বিজেপির বিজয় মিছিলে চায়না ট্রলিতে অনুব্রত মন্ডলকে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হবে। আর ট্রলির পিছনে পিছনে রোলার চালানো হবে । সেদিন অনুব্রত মণ্ডল বুঝতে পারবে মৃত্যুভয় কাকে বলে।"
দক্ষিণ দিনাজপুর-
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসকের ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও গণতন্ত্র বাঁচাও, এই ব্যানারে আজ সকাল থেকে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব অবস্থান বিক্ষোভে বসেছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর -
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসকের অফিসে সামনে এলআইসি মোড়ে বাংলায় গণতন্ত্র বাঁচিয়ে তোলো ডাক দিয়ে বিজেপি অবস্থান বিক্ষোভে বসে । বিজেপি জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি উপস্থিত আছে বিজেপি রাজ্য কমিটির সম্পাদক তুষারকান্তি ঘোষ।
বাঁকুড়া-
পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও। এই দাবি নিয়ে বাঁকুড়াতেও ধরনায় সামিল বিজেপি নেতা, কর্মী, সমর্থকরা। বাঁকুড়া শহরের মাচানতলায় মুক্ত মঞ্চে ধরনায় বসেন বিজেপি নেতা, কর্মী, সমর্থকরা। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব৷ অন্যদিকে বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে ধরনা অবস্থান করেন বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার কর্মী-সমর্থকরা।
আলিপুরদুয়ার-
অলিপুরদুয়ারে বিজেপির এসডিও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি আটকে দেয় পুলিস ৷ রাস্তা ব্যারিকেড করে বিজেপি কর্মীদের এগোতে বাধা দেওয়া হয়। বাধা পেয়ে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ সহ জেলা বিজেপি নেতারা কোর্ট মোড়ে বক্সা ফিডার রোডের উপরই বসে পরেন ৷ সাংসদ জন বার্লার সঙ্গে জেলা পুলিস কর্তাদের বচসাও বাধে ৷
জলপাইগুড়ি-
সাংসদ চিকিৎসক জয়ন্ত কুমার রায়ের নেতৃত্ব জলপাইগুড়ি এসডিও অফিসে ডেপুটেশন জমা দেন বিজেপি কর্মীরা। ডেপুটেশন জমা দিতে আসার পর পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে বিজেপি সমর্থকদের।
পূর্ব মেদিনীপুর-
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৪টি মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে ধরনা কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। এগরা, কাঁথি, হলদিয়া ও তমলুক মহকুমাশাসকেরঅফিসের সামনে ধরনায় বসেন জেলা নেতৃত্ব সহ কার্যকর্তারা।
উত্তর মালদা-
সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে চাঁচোল মহাকুমা শাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।
উলুবেড়িয়া-
উলুবেড়িয়ায় মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে বিজেপির এই কর্মসূচি পালন করে। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সহ হাওড়া গ্রামীণ জেলার বিজেপির নেতৃত্বরা । জয়প্রকাশ মজুমদার তোপ দাগেন, "শিব ঠাকুরের আপন দেশে আইন কানুন সর্বনেশে। বিজেপির জন্য এক আইন তৃণমূলের জন্য আর এক আইন।"
মুর্শিদাবাদ-
'আর নয় অন্যায়, বাংলায় গণতন্ত্র বাঁচিয়ে তোলো'- এই ইস্যুতে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি বহরমপুরে টেকস্টাইল কলেজ মোড়েও অনশন কর্মসূচিতে সামিল হয় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। 'বাঙালির ঘরে ঘরে আওয়াজ তোলো, বাংলায় গণতন্ত্র বাচিঁয়ে তোলো', এই স্লোগান দিয়েই দিনভর অনশন চলে।
পূর্ব বর্ধমান-
গণতন্ত্র বাঁচাও দিবসে সামিল হলেন পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি কর্মীরাও। অভিযোগ, রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এরাজ্যে শাসকদলের হাতে গণতন্ত্র বারবার পদদলিত হচ্ছে। কার্জন গেটের সামনে এই কর্মসূচিতে দলের জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী সহ অন্যান্য নেতারা হাজির ছিলেন। যুব মোর্চা, মহিলা মোর্চা সহ অন্যান্য শাখা সংগঠনের কর্মীরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন।
ঝাড়গ্রাম-
ঝাড়গ্রামে জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে রাস্তার উপর মঞ্চ করে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। জেলা সভাপতি সুখময় সৎপথি, সাংসদ ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন সভামঞ্চে। এদিন সাঁকরাইল ব্লক অফিসে বিজেপি কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হলে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। ফলে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়।
শ্রীরামপুর-
শাসক দলের গুন্ডারা পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। শ্রীরামপুর আদালত চত্বরে গণতন্ত্র বাঁচাও কর্মসূচির মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে সরব হল বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি রাজ্য নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে শাসকদলের গুন্ডারা আমাদের কর্মীদের খুন করছে। কোথাও পুলিস পিটিয়ে মারছে। বিজেপি রুখতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে বিজেপির আন্দোলন চলবে।"
বসিরহাট-
এদিন বসিরহাট মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে বোটঘাট এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয় বসিরহাটের মহকুমাশাসক বিবেক ভষ্মের হাতে।
হাওড়া-
"গণতন্ত্র বাঁচাও,বাংলা বাঁচাও" কর্মসূচিতে আজ হাওড়া বঙ্কিম সেতুর নীচে সভা করে বিজেপি। প্রধান বক্তা ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "বিজেপি বদল তো আনবেই পাশাপাশি বদলাও নেবে। শেষের দিন শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি হওয়া দরকার। বিজেপি কর্মীদের ঘরছাড়া করা হচ্ছে। মারধর করা হচ্ছে। তাঁরা ক্ষমা করবেন না। যেভাবে জবাব দেওয়ার দেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন, করোনায় মৃতের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা বিল! রুবি হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ স্বাস্থ্য কমিশনের