গুলিবিদ্ধ দলীয় কর্মীর মৃত্যুতে উত্তাল নানুর, এসপি অফিস-থানা ঘিরে বিক্ষোভ বিজেপির!

৬ তারিখ, গ্রামে বিজেপির পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বচসা শুরু হয় নানুরের রামকৃষ্ণ গ্রামে। সেই বচসা-ই পরবর্তীতে রূপ নেয় দু'পক্ষের সংঘর্ষে।

Updated By: Sep 9, 2019, 01:47 PM IST
গুলিবিদ্ধ দলীয় কর্মীর মৃত্যুতে উত্তাল নানুর, এসপি অফিস-থানা ঘিরে বিক্ষোভ বিজেপির!

নিজস্ব প্রতিবেদন : গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মীর মৃত্য ঘিরে উত্তপ্ত নানুর। বিক্ষোভে নেমেছে বীরভূম জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। ৬ সেপ্টেম্বর গুলিবিদ্ধ হন বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াই। রবিবার রাতে কলকাতায় হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। আর তারপর থেকেই বিক্ষোভের আগুনে ফুটছে নানুর।

দলীয় কর্মীর মৃত্যুতে আজ জেলাজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি। এসপি অফিসের সামনে অনির্দিষ্টকালীন অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অবস্থান বিক্ষোভ চলাকালীন-ই সেখানে এসে পৌঁছন পুলিস সুপার। তাঁকে দেখামাত্রই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। পুলিস সুপারের গাড়ি ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। 'বীরভূম পুলিস হায় হায়' স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। এসপি অফিসের পাশাপাশি নানুর থানার সামনেও চলছে বিক্ষোভ।

বিজেপির দাবি, স্বরূপ গড়াইকে খুনের পিছনে হাত রয়েছে নানুরের তৃণমূল নেতা কেরিম খান। সে-ই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, ৬ তারিখ, গ্রামে বিজেপির পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বচসা শুরু হয় নানুরের রামকৃষ্ণ গ্রামে। সেই বচসা-ই পরবর্তীতে রূপ নেয় দু'পক্ষের সংঘর্ষে। দু'পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি। অভিযোগ, সংঘর্ষের সময়ই বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াইকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগে স্বরূপ গড়াইয়ের পাঁজরে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। শেষে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল স্বরূপ গড়াইকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রবিবার রাতে মৃত্য়ু হয় স্বরূপ গড়াইয়ের। আর তারপর থেকেই নতুন করে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে নানুরে।

আরও পড়ুন, ক্ষমতায় এসেই জেলের ভাত খাওয়াব তৃণমূলের 'দালাল' পুলিস অফিসারদের : রাজু

এদিন সন্ধ্যায় স্বরূপ গড়াইয়ের দেহ পৌঁছনোর কথা গ্রামে। দেহ নিয়ে গ্রামে আসার কথা রয়েছে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের। সেইসময় আবার অশান্তি বাধতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। অশান্তি মোকাবিলায় তাই গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী।

.