বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: অনুব্রত মণ্ডল আসানসোল জেল থেকে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা হওয়ার পরই উল্লাসে মাতলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ঢাকঢোল বাড়িয়ে, আবীর খেলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন তাঁরা।
Add Zee News as a Preferred Source
আরও পড়ুন- দীর্ঘ টানাপোড়েনের অবসান, দিল্লির পথে অনুব্রত; প্রথম গন্তব্য জোকা ইএসআই হাসপাতাল
আসানসোল জেলা সংশোধনাগার ছাড়তেই জেল চত্বরে নেমে পড়লেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাদের হাতে ঝাঁটা, গোবর জল। ঝাঁটা, গোবরজল দিয়ে সংশোধনাগার চত্বর 'শুদ্ধিকরণ' করলেন তাঁরা। পাশাপাশি গেরুয়া আবীর খেলে, লাড্ডু বিলি করে উত্সবে মাতলেন।
এদিন সকালে পৌনে সাতটা নাগাদ আসানসোল সংশোধনাগার থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে বেরিয়ে যায় পুলিস। তারপরই সংশোধনাগার চত্বরে চলে আসেন বিজেপি কর্মীরা। সংশোধনাগারে ঢোকার রাস্তা, চত্বর গোবর জল, গঙ্গাজল দিয়ে সাফ করেন। তারপরেই ঢোল বাজিয়ে আবীর খেলে তারা দোল পালন করেন। বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, দিল্লি না যাওয়ার চেষ্টা করেও পারলেন না অনুব্রত। আদালতের নির্দেশই চূড়ান্ত হল।
অন্যদিকে, আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বিজেপির ওই কর্মকাণ্ড নিয়ে বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের বিষয়টি গোটাটাই আদালতের বিচারাধীন। আদালত যা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেটাই হচ্ছে। বিজেপি এনিয়ে যে রাজনীতি করছে তা করে কোনও লাভ নেই। গোটা রাজ্য মা-মাটি-মানুষের সরকারকেই ভোট দেবে।
উল্লেখ্য, এদিন সকাল ৬.৪৪ নাগাদ অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার জোকা ইএসআই হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বের হয় পুলিস। অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল কারাগার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একজন কন্ট্রোলার কৃশানু গাঙ্গুলী ও তার সহযোগী গিয়েছেন। তাঁকে নিরাপত্তা দেবে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিসের একজন ইন্সপেক্টর, তিনজন সাব-ইন্সপেক্টর ও ১২ জন সশস্ত্র পুলিশবাহিনী। একইসঙ্গে থাকবে দুটি পাইলট গাড়ি। একটি কনভয়ের সামনে অন্যটি পিছনে থাকবে। একটি অ্যাম্বুলেন্স আসানসোল জেলা হাসপাতালের থেকে সঙ্গে এসেছে। জেলা হাসপাতালের একজন ফিজিসিয়ান চিকিৎসক অমিও সিন্ধু দাস ও তার একজন সহযোগীও রয়েছেন কনভয়ে।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)