হাসপাতালে ‘প্রিয় নেতা’কে কাছে পেয়েই অটোগ্রাফের আবদার আহত সমর্থকের

বক্তৃতা শেষে প্রধানমন্ত্রী ছুটে গিয়েছেন হাসপাতালে। তবে নিরাপত্তা রক্ষী, পুলিস থেকে হাসপাতাল প্রশাসন কেউ-ই ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি, এ ভাবে নিয়ম ভেঙে হাসপাতালে চলে আসবেন প্রধানমন্ত্রী!

Updated By: Jul 16, 2018, 10:24 PM IST
হাসপাতালে ‘প্রিয় নেতা’কে কাছে পেয়েই অটোগ্রাফের আবদার আহত সমর্থকের
ছবি- টুইটার, রাজ্য বিজেপি

নিজস্ব প্রতিবেদন: মোদীর বক্তৃতার সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল প্যান্ডেল। আহত হলেন কমপক্ষে ৭৫ জন। গুরুতর আহত ৭। মেদিনীপুর জেলা হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আহতদের। সোমবার নরেন্দ্র মোদীর ‘কৃষক সভা’র ঘটনাপ্রবাহ কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি। বক্তৃতা শেষে প্রধানমন্ত্রী ছুটে গিয়েছেন হাসপাতালে। তবে নিরাপত্তা রক্ষী, পুলিস থেকে হাসপাতাল প্রশাসন কেউ-ই ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি, এ ভাবে নিয়ম ভেঙে হাসপাতালে চলে আসবেন প্রধানমন্ত্রী!

আরও পড়ুন- ফ্লেক্স-যুদ্ধে ছাড়া হবে না ‘সূচ্যগ্র মেদিনী’! জানান দিচ্ছে মেদিনীপুর

ত্রস্ত নিরাপত্তা রক্ষীরা। প্রধানমন্ত্রীর আসার আগাম বার্তা না পেয়ে কিছুটা থতমত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। সরাসরি হাসপাতালে প্রবেশ করে আহতদের সঙ্গে দেখা করলেন মোদী।  অভিভাবকের মতো সস্নেহে সমর্থকদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। চিকিত্সকদের সঙ্গে কথাও বললেন তিনি। তবে, এ ভাবে ‘প্রিয় নেতাকে’ এতটা কাছে পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়লেন আহত সমর্থকরা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থাতেও বেডে শুয়েই মোদীর কাছে অটোগ্রাফের আবদার জানালেন এক সমর্থক। তাঁর আবদার ফেরানোর কোনও প্রশ্নই নেই, উল্টে মাথায় হাত বুলিয়ে আরোগ্য কামনাও করতে দেখা যায় মোদীকে।

আরও পড়ুন- তৃণমূলের জুলুম থেকে মুক্তি মিলবে শীঘ্রই : মোদী

উল্লেখ্য, ‘কৃষক কল্যাণ সমাবেশে’ মোদীর ভাষণকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই সাজো সাজো রব মেদিনীপুর শহর। উলটো দিকে গেরুয়া পতাকা আর মোদীর দীর্ঘ ফেস্টুনের পাশাপাশি সহবস্থান করছে করজোড় করা মমতার ‘কাটআউট’-ও। ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য তৃণমূলও তোরণ, ফেস্টুন, পতাকা দিয়ে গোটা শহরকে ঢেকে দিয়েছে। এ দিন সভায় তৃণমূলের এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করে মোদী জানান, “আমাকে এ ভাবে স্বাগত জানানোর জন্য মমতাদিদিকে ধন্যবাদ।” ২০১৯ নিবার্চনের বাদ্যি বাজিয়ে মমতাকে এ দিন এক হাত নিয়েছেন মোদী। মমতা সরকারকে ‘সিন্ডিকেটরাজ’ বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ রাজ্যের কৃষকদের নিয়ে মমতা উদাসীন বলেও অভিযোগ করেন নমো। পাশাপাশি কেন্দ্রের নূন্যতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্তে কৃষকদের সুবিধার কথা তুলে ধরেন তিনি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, একমাত্র নূন্যতম সহায়ক মূল্য প্রকল্প দিয়েই কৃষকদের মন জয়ের চেষ্টা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। কারণ, এ রাজ্যে  কৃষকদের কল্যাণে এখনও কোনও নীতি নির্ধারণ করতে পারেননি দিলীপ ঘোষরা। 

আরও পড়ুন- প্যান্ডেল ভেঙে আহত ৪৫, অসুস্থদের দেখতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী, দেখুন ভিডিও

মোদীর এ দিনের জনসভায় ভিড় উপচে পড়ে। বাঁশ ও গাছ থেকে নেমে সমর্থকদের নিরাপদ স্থানে থাকার নির্দেশ দিতেও শোনা গিয়েছে মোদীকে। এরপরও বিপদ এড়ানো যায়নি। মোদীর বক্তৃতার মাঝেই প্যান্ডেলের একাংশ ভেঙে পড়ে আহত হয়েছেন বেশ কিছু সমর্থক।   

.