মোদীর সভায় আহতদের পাশে থাকার বার্তা মমতার
সকলকে আবাক করে, আহতদের দেখতে হাসপাতালে উপস্থিত হন স্বয়ং মোদী। সেখানে আহতের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেও দেখা যায় তাঁকে। আর ঠিক এমন সময়েই মমতার টুইট বার্তা প্রকাশ্যে আসে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মেদিনীপুরে মোদীর সভায় যোগ দিতে এসে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৫ জন। গুরুতর আহত ৭। সোমবারের এই সভাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ও প্রশাসনের মুণ্ডপাত করলেও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করলেন সেই মমতাই। চিকিত্সায় যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন নরেন্দ্র মোদীকে দেখার জন্য রাস্তার দু'ধারে অসংখ্য মানুষের ঢল নেমেছিল। সভাস্থলেও কার্যত তিল ধারণের জায়গা ছিল না। এমন সময় প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে উঠতেই 'মোদী...মোদী' রবে ফেটে পড়ে সমবেত জনতা। এরপর মোদী বক্তৃতা দিতে শুরু করতেই বাঁশের উপর উঠে তা ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা শুরু করেন একদল অত্যুত্সাহী। তত্ক্ষণাত্ বক্তৃতা থামিয়ে তাঁদের বাঁশ থেকে নেমে যেতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, ততক্ষণে দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন জনা সাতেক। এরপর প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বুলেন্সে করেই আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সকলকে আবাক করে, আহতদের দেখতে হাসপাতালে উপস্থিত হন স্বয়ং মোদী। সেখানে আহতের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেও দেখা যায় তাঁকে। আর ঠিক এমন সময়েই মমতার টুইট বার্তা প্রকাশ্যে আসে। আরও পড়ুন- তৃণমূলের জুলুম থেকে মুক্তি মিলবে শীঘ্রই : মোদী
We pray for the speedy recovery of all those injured at the Midnapore rally today. The government is giving all help for medical treatment
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 16, 2018
সোমবার মেদিনীপুর কলেজ মোড়ে মোদীর সভার মূল লক্ষ্য কৃষকরা হলেও, ঘুরে ফিরে বারবার মমতার তৃণমূলকে বিঁধেছেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তৃতার শুরুতেই তীর্যক ভঙ্গিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "হেলিকপ্টার থেকে নেমে সভামঞ্চে আসার পথে দেখলাম, আমাকে স্বাগত জানাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ঝুলছে। আমি এরজন্য কৃতজ্ঞ"। উল্লেখ্য, মেদিনীপুরে মোদীর সভাকে ঘিরে শহর জুড়ে যেমন গেরুয়া পতাকা ও ফেস্টুনে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঠিক তেমনই সমানে সমানে পাল্লা দিতে, ২১ জুলাইয়ের শহিদ সভার পোস্টার-ফেস্টুনে পথ ঘাট ভরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলও। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক কাট-আউট ঝোলান হয়েছে। এদিনের সভায় বাংলায় 'সিন্ডিকেট রাজ' থেকে কেলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে 'দুর্নীতি', কোনও ইস্যুই হাত ছাড়া করেননি মোদী। আর এরপর সরাসরি জানিয়েও দিয়েছেন, বামেদের শাসন থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘ সময় লাগলেও, 'এই জুলুম' থেকে মুক্তি মিলবে শীঘ্রই। আরও পড়ুন- প্যান্ডেল ভেঙে আহত ৪৫, অসুস্থদের দেখতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী, দেখুন ভিডিও