Burdwan: তৃণমূল নেতাদের দ্বারা প্রতারিত? চাকরিপ্রার্থীদের সেই টাকা ফেরত দেবে বিজেপি!
বর্ধমানে দলের কার্যালয়ের বাইরে লাগানো হল ফ্লেক্স। `জেলা সভাপতির নির্দেশে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি`, জানালেন বিজেপির বর্ধমান জেলার সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র।
অরূপ লাহা: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। তৃণমূল নেতা বা সরকারি আধিকারিকদের টাকা দিয়েও চাকরি পাননি? বিজেপির কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে! ফ্লেক্স টাঙানো হল বর্ধমান শহরে। রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে।
ঘটনাটি ঠিক কী? সম্প্রতি দলের কর্মসূচি যোগ দিতে বর্ধমানে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শহরে বড়নীলপুর এলাকায় একটি পথসভা করেছিলেন তিনি। সেই সভায় বসেছিলেন, দলের জেলা কার্যালয়ের সামনেই ব্যানার টাঙিয়ে দিন, টাকা দিয়েও যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁরা জেলা কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন। নাম গোপন রেখে টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। কীভাবে? দলের কর্মীদের অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি।
আরও পড়ুন: SSC Scam: টানা ৬ ঘণ্টা জেরা, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইডির জালে আরও ১ মিডল ম্যান
এদিন বর্ধমান শহরে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে সামনে একটি ফ্লেক্স টাঙানো হয়। সেই ফ্লেক্সে টাকা দিয়েও যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁদের দলের কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কেন? টাকা ফেরত দেওয়া হবে! বিজেপি বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানিয়েছেন, 'জেলা সভাপতির নির্দেশে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি'। 'কারও এই ধরণের সমস্যা হলে, তাঁরা তো পুলিস-প্রশাসন কাছে যাবে। বিজেপির কার্যালয়ে কেন যাবে'?, প্রশ্ন তুলেছেন জেলা তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস।
এদিকে কয়েক দিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় এক তৃণমূল নেতার উপর চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাছে বেঁধে লাঠিপেঠা করা হয় তাঁকে! কেন? অভিযোগ, রেলে চাকরি দেওয়ার নামে যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি দিলীপ পাত্র। কিন্তু চাকরি পাননি কেউ। এরপর যখন টাকা ফেরত চান তাঁরা, তখন চেক দেন অভিযুক্ত। সেই চেকও বাউন্স করে।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: 'সিবিআই তদন্ত চাই', হলদিয়ায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পোস্টার!
এর আগেও, পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানগোলায়ও চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগে তৃণমূল নেতার বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রথমে বিক্ষোভ-ধরনা, এরপর বাড়িতে শুরু হয় ভাঙচুর। শেষপর্যন্ত অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলেকে গাছে বেঁধে মারধর করেন বিক্ষোভকারীরা। পূর্ব মেদিনীপুরেই 'পার্থ ঘনিষ্ঠ' হিসেবে পরিচিত ছিলেন তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধান। কারও কাছ থেকে ৫০ হাজার, তো কারও ৫ লক্ষ। চাকরি দেওয়ার নাম করে নান্টুও বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ২০১৮ সালে ওই তৃণমূল নেতা খুন হন! এখন চাকরিপ্রার্থীদের টাকা ফেরাচ্ছেন তাঁর বৃদ্ধ বাবা।