রাতভর নিখোঁজের পর বাড়ির পাশে নালায় মিলল 'BJP' কর্মীর রক্তাক্ত দেহ, এলাকায় চাঞ্চল্য
খুনের পিছনে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি নাকি পারিবারিক বিবাদ?
নিজস্ব প্রতিবেদন : পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার চাঁদিবেনিয়া গ্রামে এক 'বিজেপি' কর্মী খুনের অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পীরখালি ব্রিজের পাশে নয়নজুলিতে এদিন রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। ময়না থানার পুলিসকে খবর দিলে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহের পাশ থেকে ছুরি, কাঁচি ও দড়ি উদ্ধার করেছে পুলিস। মৃতের গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্নও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম কৃষ্ণ পাত্র (৪০)। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মৃতের পরিবারকে। জানা গিয়েছে, গতকাল রাত থেকে নিখোঁজ ছিল সে। মাথার পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে কী কারণে এই খুন তা জানা যায়নি। যদিও এই খুনের পিছনে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি নেই বলেই মনে করছে পুলিস। অন্যদিকে, এই পরিবার কোনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয় বলে জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। তবে নিহত কৃষ্ণ পাত্র দলীয় কর্মী বলে দাবি করেছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত কৃষ্ণ পাত্র ও তাঁর স্ত্রী এবং পুত্র একসঙ্গে বাড়িতে ছিল। আর তাঁর দুই মেয়ের মধ্যে একজন বিবাহিত। আর অন্যজন ঠাকুমার কাছে পুরনো ঘরে থাকত। কৃষ্ণ পাত্র স্থানীয় ইট ভাটায় কাজ করতেন। এলাকাবাসীর দাবি, গতকাল রাত ৯টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরের দালানে বসে জাল বুনছিলেন কৃষ্ণ। তারপর সারা রাত বাড়ির ভেতরে না যাওয়া সত্ত্বেও স্বামীর খোঁজ করেননি স্ত্রী। আর এখানেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে পুলিসের। সকালে উঠে স্ত্রী, স্বামীর খোঁজ চালায়।
এরপরই বাড়ির সামনেই নালায় মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় কৃষ্ণ পাত্রকে। পারিবারিক কোনও সমস্যা জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিসের। দেহ উদ্ধার করে ময়না থানার পুলিস ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। অন্যদিকে ময়না থানার পুলিস জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী ও ছেলেকে থানায় নিয়ে আসে। খুনের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে ময়না থানার পুলিস।
আরও পড়ুন, 'কিছুক্ষণ থাকতে বলেন', কোম্পানির মালিক ও পুত্রের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ কর্মীর