Durga Puja 2022: ছয় শরিকের ছয় পুজো এবং বিদ্যাসাগর
Durga Pujo 2022 : পাশাপাশি ৬টি বাড়ি, ৬টি আলাদা দুর্গাপুজো! গল্প নয়, সত্যি সত্যিই। নদীয়ার নাকাশিপাড়া ব্লকের ধর্মদা লাগোয়া বহিরগাছি গ্রাম। সেখানেই রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের দীক্ষাগুরু বংশ ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গাপুজো। এককালে এই বাড়িতে মাঝে মধ্যেই আসতেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। প্রথমে ছ’টি নয়, একটি পুজোই হতো। পরবর্তীকালে যৌথ পরিবার ভেঙে শরিকরা আলাদা হয়ে গেলে, ছয় শরিকের বাড়িতে আলাদা-আলাদা দুর্গাপুজো শুরু হয়।
Durga Pujo 2022, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাশাপাশি ৬টি বাড়ি, ৬টি আলাদা দুর্গাপুজো! গল্প নয়, সত্যি সত্যিই। নদীয়ার নাকাশিপাড়া ব্লকের ধর্মদা লাগোয়া বহিরগাছি গ্রাম। সেখানেই রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের দীক্ষাগুরু বংশ ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গাপুজো। এককালে এই বাড়িতে মাঝে মধ্যেই আসতেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। প্রথমে ছ’টি নয়, একটি পুজোই হতো। পরবর্তীকালে যৌথ পরিবার ভেঙে শরিকরা আলাদা হয়ে গেলে, ছয় শরিকের বাড়িতে আলাদা-আলাদা দুর্গাপুজো শুরু হয়। পরিবার ভেঙে গেলেও বাঁধন অটুট রেখেছে এই ছয় দুর্গা।
আনুমানিক প্রায় তিনশো বছর ধরে এই ছয় দুর্গার পুজো চলে আসছে। নদিয়া রাজাদের গুরুবংশ এই ভট্টাচার্য বাড়ি। জেলার আঞ্চলিক ইতিহাসের বইতে উল্লেখ রয়েছে, স্বয়ং বিদ্যাসাগরও একাধিকবার এসেছিলেন ভট্টাচার্য বাড়িতে এসেছিলেন বিধবা বিবাহ নিয়ে কথা বলতে। নদিয়া রাজবংশের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের গুরুদেব ছিলেন এই বাড়ির সুপন্ডিত রামভদ্র ন্যায়লঙ্কা। রামভদ্রর মৃত্যুর পর ছয় ছেলে আলাদা হয়ে যাওয়াতে পুজোও আলাদা হয়ে যায়। সেই থেকে ছয় তরফের পুজো হয়ে আসছে।
এছাড়াও এই পুজো নিয়ে আরও অনেক গল্প আছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, একবার ভট্টাচার্য পরিবারের এক শরিক মধুসূদন তর্কপঞ্চানন, পুজো করতে গিয়ে নবমীর দিন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময় ওই বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। বিদ্যাসাগর নিজে পুজোয় বসে নবমীর পুজো শেষ করেছিলেন।
আরও পড়ুন : Durga Pujo 2022 : ২৬৫ নট আউট, ডাকের সাজের ইতিহাস কথা বলে শোভাবাজারে!
আজ, ছ'টি শরিক পৃথক হলেও দশমীর সকালে সবাই একসঙ্গে স্থানীয় সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে পুজো দিতে যায়। প্রতিমা বিসর্জন পর্বে বড়দের সম্মান জানাতে প্রথমে বড়বাড়ি থেকে ছোট নিয়ম করে গ্রামের গুড়গুড়ে খালে পরপর ছ’টি বাড়ির দূর্গা প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। প্রতিটি বাড়ির সঙ্গে রয়েছে একটি পাকা পুজো মন্ডপ। একসময় পুজোতে মোষ বলি হতো। বলির বড় সেই খাঁড়া এখনও রয়েছে বাড়িতে। কয়েক বছর আগে অবধিও পাঁঠা বলি হতো। তবে এখন সেটাও হয় না। পশুর বদলে বলি হয় আঁখ-কুমড়ো ইত্যাদির।