গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে বাংলার মডেলে রাজস্থান, প্রশংসা করলো কেন্দ্র
কনটেনমেন্ট জ়োনের মতো ‘সেফ হোমগুলিকে’ বাঁশ দিয়ে ঘেরা হবে না। এতে রোগী এবং তাঁর পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য সরকারের ‘সেফ হোমের’ উদ্যোগকে প্রশংসা করলো কেন্দ্র। শনিবার, সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা পশ্চিমবঙ্গের এই ‘সেফ হোম’ তৈরির ভাবনার প্রশংসা করেন। তিনি জানান, এই পদক্ষেপে গোষ্ঠী সংক্রমণ রোখা যাবে। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বৈঠকে জানিয়েছিলেন, কলকাতা-সব বিভিন্ন জেলায় একাধিক ‘সেফ হোম’ তৈরি করা হয়েছে। যা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গই প্রথম।
কী এই ‘সেফ হোম’?
অ্যাসিম্পটমেটিক অর্থাত্ উপসর্গ নেই এমন রোগী বা হাল্কা উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের বাড়িতে থেকে চিকিত্সার পরামর্শ দিয়েছিল রাজ্য। সেল্ফ আইসোলেশনে থাকা রোগীদের নজরদারি চালাবে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। শ্বাসকষ্ট হলে তবেই হাসপাতালে ভর্তি করা হবে তাঁদের। সরকার সব রকমভাবে সাহায্য করবে। করোনা রোগীরে ওই সব বাড়িকেই ‘সেফ হোম’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত রাজ্যে ১০৬টি ‘সেফ হোম’ তৈরি করা হয়েছে। তবে, কলকাতা-সহ বেশ কিছু জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাতে উদ্বিগ্ন নবান্ন। কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা-সহ ৬টে জেলায় সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের খবর মিলছে। বিভিন্ন জেলায় সমীক্ষা চালিয়ে গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে হোম আইসোলেশন ইউনিট তৈরির সিদ্ধন্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাতের অন্ধকারে চলছিল বোমা বাঁধার কাজ, আকস্মিক বিস্ফোরণে তছনছ ঘরবাড়ি, মৃত ২
উল্লেখ্য, কনটেনমেন্ট জ়োনের মতো ‘সেফ হোমগুলিকে’ বাঁশ দিয়ে ঘেরা হবে না। এতে রোগী এবং তাঁর পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে। নবান্নের এক কর্তা জানান, করোনা রোগকে রোখাই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। রোগীর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করা নয়। তিনি বলেন, “করোনা হলে সেই ব্যক্তিকে বা তাঁর পরিবারকে যেন অচ্ছুত করে রাখা না হয়। করোনা একটা রোগ। তা সেরে যায়। গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাবার জন্য সামাজিক দূরত্ব মানা, মাস্ক করা অবশ্যই দরকার।” সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের এই ‘সেফ হোম’ মডেল অনুসরণ করে উপকৃত হয়েছে রাজস্থান।