'ওটা কি ঘুরতে যাওয়ার জায়গা?' বিজয়বর্গীয়কে একহাত নিয়ে কড়া আক্রমণ চন্দ্রিমার

রাজ্যপাল বলেন, কখনওই কোনও হিংসাত্মক পরিস্থিতি কাম্য নয়। যে কোনও পরিস্থিতিতে সবসময় শান্তি বজায় রাখা উচিত।

Reported By: কমলিকা সেনগুপ্ত | Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Dec 18, 2019, 07:22 PM IST
'ওটা কি ঘুরতে যাওয়ার জায়গা?' বিজয়বর্গীয়কে একহাত নিয়ে কড়া আক্রমণ চন্দ্রিমার

নিজস্ব প্রতিবেদন : "ওটা কি ঘুরতে যাওয়ার জায়গা নাকি? এই সময় উনি কেন ওখানে গেলেন?" মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে দুষ্কৃতীদের হাতে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, "উনি দেখুক কেন্দ্র সরকার কী করছে।"  এদিন জঙ্গিপুর যাওয়ার পথে নবগ্রামে আক্রান্ত হন বিজয়বর্গীয়। সাংবাদিক বৈঠকে যে ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। রাজ্যপাল বলেন, কখনওই কোনও হিংসাত্মক পরিস্থিতি কাম্য নয়। যে কোনও পরিস্থিতিতে সবসময় শান্তি বজায় রাখা উচিত। শান্তি বজায় রাখতে রাজ্য সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এদিন বিক্ষোভকারীদের হাতে মুর্শিদাবাদে আক্রান্ত হন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। কালো পতাকা দেখানো হয় বিজয়বর্গীয়কে। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উদ্দেশে 'গো ব্যাক' স্লোগান দিতেও শোনা যায় বিক্ষোভকারীদের। বিক্ষোভের মধ্য়ে গাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে আসেন বিজয়বর্গীয়। এদিন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে যাওয়ার কর্মসূচি ছিল কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। জঙ্গিপুরে দলীয় কার্যালয়গুলি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল বিজয়বর্গীয়র।

এই পরিস্থিতিতে এদিন বীরভূমের বোলপুর থেকে সড়কপথে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের উদ্দেশে রওনা দেন বিজেয়বর্গীয়। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ৯টায় জঙ্গিপুর পৌঁছনোর কথা ছিল তাঁর। কিন্তু জাতীয় সড়কে একাধিক জায়গায় যানজটের জেরে অন্য একটি রাস্তা দিয়ে নবগ্রামে পৌঁছন তিনি। আর নবগ্রামে পৌঁছনো মাত্রই বিক্ষোভের মুখে পড়েন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর গাড়ি আটকে শুরু হয় স্লোগানিং, বিক্ষোভ। গাড়ি থেকে শেষমেশ রাস্তায় নেমে আসেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

আরও পড়ুন, ১৯২১ সালে আমার ১৩ জন কর্মী মারা গিয়েছিল গুলিতে: মমতা 

এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় চূড়ান্ত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি নেতা। বিজয়বর্গীয় লিখেছেন, "নবগ্রামে আমার গাড়ির দুদিক থেকে ভিড় ঘিরে ফেলেছে। প্রশাসন চুপ করে রয়েছে। এসপি ও ডিজি ফোন তুলছেন না। পশ্চিমবঙ্গে এই অরাজক সরকারের আমলে যে কোনও কিছু হতে পারে। এখানে কেউ সুরক্ষিত নয়।"

.