Malda Child Death: বাবা কাজে ব্যস্ত, খেলতে বেরিয়ে ইটভাটার জলভর্তি খাদে ডুবে মৃত্যু ২ শিশুর
শিশু দুটি পড়ে যেতেই তাদের সঙ্গীরা দৌড়ে বাড়িতে এসে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন-সহ পাড়ার লোকেরা সেখান ছুটে গিয়ে দেখেন কাদা মাটি মেখে জলে ভাসছে দুই শিশু। স্থানীয়দের সহযোগিতায় দেহ দুটি উদ্ধার করে চাঁচলের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসে
রণজয় সিংহ: ইটভাটার খাদের জলে ডুবে মৃত্যু হল ২ শিশুর। মঙ্গলবার মালদহের চাঁচল থানার দক্ষিণ হারোহাজরা গ্রামের ওই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জলে ভাসমান ২ শিশুকে উদ্ধার করে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা ২ শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই দুই শিশুর নাম তাসমিরা খাতুন (৩) ও আনিমুল হক(৪)। দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন-'আপনারা বসুন, আমিও বসে রইলাম', শীতবস্ত্র না আসায় মঞ্চেই ঠায় বসে রইলেন মমতা
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , হারোহাজরা গ্রামে ইটভাটা লাগোয়া এলাকায় কয়েকটি পরিবার বাস করে। মৃত শিশুদের পরিবার দুটি ওই ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। মঙ্গলবার সকালে মৃত ওই দুই শিশুর বাবা ইটভাটায় কাজ করছিলেন। তাদের মা রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ওই সময় পাড়ার অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে ইটভাটায় খেলতে যায় তারা। খেলতে খেলতে ওই দুই শিশু ইটভাটার জল ভর্তি খাদে গড়িয়ে পড়ে যায়।
শিশু দুটি পড়ে যেতেই তাদের সঙ্গীরা দৌড়ে বাড়িতে এসে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন-সহ পাড়ার লোকেরা সেখান ছুটে গিয়ে দেখেন কাদা মাটি মেখে জলে ভাসছে দুই শিশু। স্থানীয়দের সহযোগিতায় দেহ দুটি উদ্ধার করে চাঁচলের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদের পরিবারের দাবি, ইটভাটা ঘেঁষা জায়গায় আমাদের বসবাস। ভাটা কর্তৃপক্ষ সীমানা প্রাচীর করুক। সীমানা প্রাচীর বা বেড়া থাকলে এই অঘটন ঘটত না বলে পরিবারের দাবি।