‘ধর্ষণের পর খুন’, দেহ নিয়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ
লোকলজ্জার ভয়ে সে সময়ে নাবালিকা কাউকেই কিছু জানাতে পারেনি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে, যখনও ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তখনই থানায় গিয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে পরিবার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথমে ধর্ষণ, পরে পুলিসকে জানানোয় খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। বারবার অভিযোগ জানিয়েও অধরাও অভিযুক্ত। এবার নির্যাতিতা নাবালিকার দেহ নিয়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বড়ো শালবাড়ি গ্রাম।
আরও পড়ুন: বেপরোয়া বোমাবাজি, নতুন করে উত্তপ্ত ভাঙড়
নেপথ্যের ঘটনা জানতে পিছিয়ে যেতে হবে কয়েক মাস। বড়ো শালবাড়ি গ্রামের আমতলা এলাকার ওই নাবালিকাকে কয়েক মাস আগে গ্রামেরই এক যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে সে সময়ে নাবালিকা কাউকেই কিছু জানাতে পারেনি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে, যখনও ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তখনই থানায় গিয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। কিন্তু পুলিসের বিরুদ্ধেও ওঠে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। অধরাই থেকে যায় অভিযুক্ত। এরইমধ্যে কিছুদিন আগে এক সন্তানের জন্ম দেয় নাবালিকা। এরপর থেকে চাপ আরও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: নতুন স্কুলে নতুনভাবে শুরু করতে চলেছে জিডি বিড়লা স্কুলের সেই খুদে পড়ুয়া
নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াত। নানাসময়ে নাবালিকা ও তার পরিবারকে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিত সে। বুধবার সকালে বাড়ির পাশ থেকেই ওই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। ওই যুবকই নাবালিকাকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় গ্রামে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে হরিপুর-কামাখ্যাগুড়ি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।