Barasat: ফোন কাড়ায় আত্মঘাতী মেয়ে! গ্লানিতে বছর ঘুরতেই চরম সিদ্ধান্ত বাবা-মার...

Barasat: বারাসাত পুরসভার দু'নম্বর ওয়ার্ডের সপ্তর্ষিনগরে মেয়ের মৃত্যুর শোকে আত্মঘাতী দম্পতি। ঘর থেকে উদ্ধার পচা গলা দেহ।

মনোজ মণ্ডল: গত বছর জুলাইতেই আত্মঘাতী হয়েছিল মেয়ে। তারপর থেকে একমাত্র মেয়ের চলে যাওয়ার শোকে ভেঙে পড়েছিলেন বাবা-মা। এক বছরের মাথায় চরম সিদ্ধান্ত নিলেন শোকাহত বাবা-মা। 

মেয়ের মৃত্যুর শোকে আত্মঘাতী দম্পতি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে বারাসত পুরসভার দু'নম্বর ওয়ার্ডের সপ্তর্ষিনগরে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতদের নাম মৌসুমী মণ্ডল ও রঞ্জিত মণ্ডল। বন্ধ ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিস।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দম্পতির একমাত্র কন্যাসন্তান গত বছর ২০ জুলাই আত্মঘাতী হন। এরপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন দম্পতি। ফলে, হতাশার মধ্য দিয়েই জীবনযাপন করছিলেন। শুক্রবার সকালে বন্ধ ঘর থেকে দুর্গন্ধ পান এলাকার মানুষ। পরে ঘর থেকে দম্পতির পচাগলা দেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে, পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যুকালে আত্মঘাতী দম্পতির মেয়ের বয়স ছিল ২০। মেয়ের মৃত্যুর কারণ নিয়ে আজও ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। কেউ জানিয়েছে, প্রেমের সম্পর্কের জটিলতার কারণেই চরম পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয় মেয়ে। আবার কেউ জানিয়েছেন, মেয়ের প্রেমের সম্পর্কে আপত্তি জানায় বাবা-মা। তারপর ফোন কেড়ে নিয়েছিল বাবা। সেই কারণেই মেয়ে আত্মঘাতী হন। এরপর থেকেই বাবা-মা ভেঙে পড়েছিলেন। চরম অবসাদে ভুগছিলেন তাঁরা।

কিছুদিন আগেই, রঞ্জিত-মৌসুমী জানিয়েছিলেন তাঁরা তারাপীঠে পুজো দিতে যাবেন। স্থানীয়রা জানিয়েছে, সেই কারণেই তাঁদের বাড়ি বন্ধ দেখে আলাদা করে খোঁজ করেনি কেউই। পুলিস সূত্রে খবর, ওই দম্পতির বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। তাতে লেখা, 'আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।' তার পরেই ডায়েরিতে লেখা রয়েছে, মেয়ে ‘মনু’কে ছেড়ে থাকতে পারছেন না তাঁরা। তাই তাঁর কাছেই যাচ্ছেন।

আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ... 
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭