Cow Smuggling Case: BSF এর একাংশের মদতেই কীভাবে গোরুপাচার সীমান্তে! ইডির চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য

 বিএসএফের একাংশের মদতে কীভাবে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে গোরু পাচার করা হত এদিন তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে ইডির চার্জশিটে। সিবিআই চার্জশিটে দাবি করা হয়েছিল, এনামূল হক ও তার সহযোগীরা পাচারে বিএসএফের সাহায্য নিয়েছিল। এদিন ইডি তদন্তকারীদের দাবি, একদিকে শুল্ক দফতরের বাজেয়াপ্ত করা গরু কম দামে কিনে নিত এনামূল হকরা। অন্যদিকে ইলামবাজার, হুগলি-সহ একাধিক পশু হাট থেকে গরু সংগ্রহ করত আবদুল লতিফরা। 

Updated By: May 5, 2023, 06:46 PM IST
Cow Smuggling Case: BSF এর একাংশের মদতেই কীভাবে গোরুপাচার সীমান্তে! ইডির চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য
ফাইল ছবি

পিয়ালি মিত্র: বিএসএফের একাংশের মদতে কীভাবে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে গোরু পাচার করা হত এদিন তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে ইডির চার্জশিটে। সিবিআই চার্জশিটে দাবি করা হয়েছিল, এনামূল হক ও তার সহযোগীরা পাচারে বিএসএফের সাহায্য নিয়েছিল। এদিন ইডি তদন্তকারীদের দাবি, একদিকে শুল্ক দফতরের বাজেয়াপ্ত করা গরু কম দামে কিনে নিত এনামূল হকরা। অন্যদিকে ইলামবাজার, হুগলি-সহ একাধিক পশু হাট থেকে গরু সংগ্রহ করত আবদুল লতিফরা। 

আরও পড়ুন, Anubrata Mandal: কাউন্সিলর থেকে কর্মী, নামে-বেনামে অ্যাকাউন্ট খুলে কেষ্টর টাকা সরানোর ছক ফাঁস ইডির চার্জশিটে!

এনামূল হকদের জন্য পুরোনো তারিখে বিক্রির রশিদ ইস্যু করতে পশু হাটের মালিকদের প্রভাবিত করতেন অনুব্রত মণ্ডল। পশুহাট থেকে গরু সংগ্রহের পর সেগুলো মুর্শিদাবাদ জেলার বাংলাদেশ সীমান্তের ৭-৮ কিলোমিটার আগে এনামূলের সুরক্ষিত জায়গা ওমরপুরে সোনার বাংলা হোটেলে রাখা হত। সেখান থেকে পাচারের কাজ পরিচালিত হত। পশু হাট থেকে গরু এসে পৌঁছতো সেখানে। যে ট্রাক ড্রাইভার গরু নিয়ে যেত তাদের নির্দিষ্ট টোকেন দেওয়া থাকতো যাতে রাস্তায় কোনও পুলিসি সমস্যা না হয়। 

রাতে হতেই বর্ডার পৌঁছে যেত গরু। বিএসএফের একাংশ নির্দিষ্ট করে দিত কোন বর্ডার আউট পোস্ট থেকে কখন গোরু পাচার হবে। সেই মোতাবেক রাতে ১১ টা থেকে ৩ টের মধ্যে ৩৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের অধীনে থাকা মুর্শিদাবাদের নিমতিতা, খাণ্ডুয়া এবং গিরিয়া বিওপি দিয়ে নির্দিষ্ট দিনে স্থানীয় রাখালের সহযোগিতায় জলপথে বাংলাদেশে গরু পাচার করা হত।

এনামুল হক ও আবদুল লতিফের সঙ্গে যোগাযোগের সায়গল হোসেনের দুটি নম্বরের ২০১৭ সাল থেকে কল ডিটেলস রেকর্ডও চার্জশিটে তুলে ধরেছে ইডি। গরু পাচারের সেফ প্যাসেজ করে দিতেই সায়গল হোসেনের ফোন থেকে অনুব্রতর সঙ্গে লতিফ ও এনামূলের নিয়মিত কথা চলত। ইডির দাবি তেমনই। পাশাপাশি, ইডির চার্জশিটে আরও দাবি করা হয়েছে যে, সায়গাল হোসেন তার বয়ানে স্বীকার করেছে যে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাকে ফোন করত আবদুল লতিফ ও এনামূল হক।

প্রসঙ্গত, গোরুপাচার মামলায় কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। বাবার মত সুকন্যারও ঠাঁই হয়েছে দিল্লির তিহাড় জেলে। আগামী ১২ মে পর্যন্ত দিল্লির তিহাড় জেলেই থাকবেন সুকন্যা। অনুব্রতর গ্রেফতারের আগেই ইডি গ্রেফতার করেছিল তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও তাঁর চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারিকে। তাদের জেরা করে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসে ইডির। 

আরও পড়ুন, Cyclone Mocha: ফের ঘনাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়; কোনদিকে অভিমুখ, কোথায় হবে ল্যান্ডফল? দেখে নিন এক নজরে...

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.