দীপাবলির সকাল থেকেই দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকে ভক্তের ভিড়
ট্রেনে, বাসে, লঞ্চে যে-ই আসছেন, সটান উঠে পড়ছেন স্কাইওয়াকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আজ দীপাবলি। আলোর উতসবে মেতে ওঠার দিন আজ। সাবেক মোমবাতি, প্রদীপের সঙ্গেই হাল ফ্যাশনের হরেক কিসিমের টুনি লাইট। দীপাবলির আলোর রোশনাই থেকে বাদ যায় না কিছুই। সঙ্গে চলে দেদার বাজি পোড়ানো। তবে এবার অবশ্য বাজি পোড়ানোর সময়সীমা নিয়ে কড়া নির্দেশিকা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে দীপাবলিতে রাত ৮ থেকে ১০টা, এই দুঘণ্টা বাজি পোড়ানো যাবে। এবার দীপান্বিতা অমাবস্যার তিথি পড়েছে রাতে। কিন্তু দক্ষিণেশ্বরে ভিড় শুরু হয়ে গেছে ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই।
মঙ্গলবার ভোর থেকেই ভক্তের ঢল নেমেছে দক্ষিণেশ্বরে। সোমবার দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর আজ সকাল থেকেই স্কাইওয়াকে চড়ে সোজা মন্দিরে পৌঁছে যাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। ট্রেনে, বাসে, লঞ্চে যে-ই আসছেন, সটান উঠে পড়ছেন স্কাইওয়াকে।
আরও পড়ুন, দক্ষিণশ্বরে স্কাইওয়াক উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রীর গোটা ভাষণ জুড়েই 'হিন্দুত্ব'
৬০ কোটি টাকা খরচ করে গড়ে উঠেছে এই স্কাইওয়াক। স্কাইওয়াকটি লম্বায় ৩৮০ মিটার ও চওড়ায় ১০ মিটার। স্কাইওয়াকে রয়েছে ১২টি চলমান সিঁড়ি, ৮টি সিঁড়ি ও ৪টি লিফট। অত্যাধুনিক এই স্কাইওয়াকে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থেকে সিসিটিভি সবই রয়েছে। স্কাইওয়াকে রয়েছে থ্রি-ডি আলোকসজ্জাও।
আরও পড়ুন, দীপাবলির আগেই দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াকের উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর, বাংলার মুকুটে নতুন পালক
স্কাইওয়াকের ভিতরে রয়েছে পুজোর সামগ্রী কেনার জন্য বেশ কয়েকটি দোকানও। সেই দোকান থেকেই পুজোর জিনিসপত্র কিনে সোজা মন্দিরে ঢুকতে পারবেন দর্শনার্থীরা। ভিড় এড়িয়ে, যানজট এড়িয়ে স্কাইওয়াক দিয়ে সোজা মন্দিরে পৌঁছে যেতে পারায় খুশি দর্শনার্থীরাও। পুজো দিতে যাওয়া-আসার মাঝে অনেককেই দেখা গেল, নতুন স্কাইওয়াকে দাঁড়িয়ে ঝটপট কয়েকটা সেলফি তুলে নিতেও।