নিজস্ব প্রতিবেদন: দুর্যোগের পর তিন দিন কেটে গিয়েছে। এখনও বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে খজুরির অরোঘবাড়ি গ্রাম। ইয়াস ও ভরা কোটালের সাঁড়াশি হানায় তছনছ গোটা গ্রাম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এতটা যে ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে দুর্যোগ(Yaas) তা আন্দাজ করতে পারেননি গ্রামের মানুষজন। অনেকেই বাড়ির শেষ সম্বলটুকু ছেড়ে যেতে যাননি। তার মসুলও দিতে হয়েছে তাদের। চোখের সামনে জলের তোড় ঢুকে সবকিছু ধুয়েমুছে সাফ করে দিয়ে গিয়েছে। এখনও কোনও সাহায্য পাননি গ্রামে থাকা তিনশো পরিবার।



আরও পড়ুন- 'গণতন্ত্র বিরোধী', আলাপন-বদলিতে রাজ্য সরকারের পাশে Congress


নদী উপকূলবর্তী খেজুরির(Khejuri) এই অরোঘবাড়িতে ২৪ ঘণ্টা আগেও ছিল এক মানুষ জল। গ্রামের বহু মানুষের ঘরে এখনও ঘরদোর গোছাতেই ব্যস্ত। গ্রামেই বাইরে দিয়ে বইছে খাল। একসময় সেই জায়গা মাটি ছিল। তা নিয়ে গিয়েছে জলের তোড়।  গ্রামবাসীরা কোথাও তারা নালায় তক্তা ফেলে রাস্তা করছেন, কোথাও ভেঙেপড়া ঘরকে খাড়া করার আপ্রাণ লড়াই করছেন। 


গ্রাম এক ব্যক্তি জি ২৪ ঘণ্টাকে জানালেন, জলের তোড়ে বাড়িটাই হুড়মুড করে পড়ে গেল। এক মহিলার দাবি, নদীর জল যে এতটা উঠে আসবে তা ধারনাই করতে পারিনি। খালের জল ফুলে উঠে সব ভাসিয়ে নিয়ে চলে গেল। ঘরের কিছুই বাঁচাতে পারিনি। গরু-বাছুর, হাঁস-মুরগী কিছু নেই। ঘরও গিয়েছে। থালাবাটি পর্যন্ত নেই।


আরও পড়ুনরবিবার SSKM থেকে ছাড়া পাচ্ছেন Madan Mitra, ফেসবুকে সুরেলা লাইভ তৃণমূল বিধায়কের


গ্রামের ভিতরে একটি জায়গায় দেখা গেল পাড়ার মধ্যে ঢুকে পড়েছে নৌকো। শুধু তাই নয়, নৌকো ধাক্কা মেরে একাধিক মাটির বাড়িকে ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। জলের তাণ্ডবের সময়ে অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু যারা দাঁড়িয়েছিলেন তারা নিজের চোখের সামনে দেখেছেন কীভাবে নিজের ঘরদোরকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে প্রবল জলের স্রোত। অধিকাংশের মাথার উপরে ছাদ নেই। ঘরে খাবার নেই। এখন আশ্রয় শিবিরই ভরসা।