দুর্যোগ শুরু সোমবার থেকেই, বুধবার সন্ধেয় ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে ঘূর্ণিঝড় Yaas

ঝড় শুরু হবে ২৪ মে সন্ধে থেকে। প্রথমে ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ২৫ মে ঝড়ের গতি হবে পারে ৫০-৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা

Updated By: May 22, 2021, 09:27 PM IST
দুর্যোগ শুরু সোমবার থেকেই, বুধবার সন্ধেয় ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে ঘূর্ণিঝড় Yaas

নিজস্ব প্রতিবেদন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ(Yaas)। তৈরি প্রশাসনও। দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ বিভিন্ন জেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। উদ্ধারকার্যের জন্য তৈরি  এনডিআরএফ। পানীয় জল, ফ্লাড সেন্টারে মানুষজনকে নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা-সহ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সবকিছু নিয়ন্ত্রণ হবে উপান্ন থেকে।

আরও পড়ুন-যশ মোকাবিলায় তৈরি NDRF-সেনা-কোস্টগার্ড, উপকূল থেকে মানুষজনকে দ্রুত সরাতে বলল কেন্দ্র 

গতবছর এই সময় আমপানে তছনছ হয়েছিল রাজ্যের ৩টি জেলা। সেই শিক্ষা নিয়ে এবার ঝড় মোকাবিলায় নামছে প্রশাসন। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা বিষয়টি দেখাশোনা করবেন। কিন্তু যশ এর মতিগতি নিয়ে কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে

**  প্রাথমিকভাবে এক নিম্নচাপ তৈরি হবে বঙ্গোপসাগরে।  তার পর সেটি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে।

** এরপর ওই ঝড় আরও শক্তিশালী হবে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়। শক্তি বাড়িয়ে সেটি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে থাকবে। 

** ২৬ মে সকালে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও বাংলাদেশ উপকূলের খুব কাছে চলে আসবে ঘূর্ণিঝড়।  এদিন সন্ধেয় ওই তিন জায়গায় উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

** আপাতত ২টি সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। একটি হল প্রবল বৃষ্টি। ২৫ মে থেকে উপকুলবর্তি এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হবে। তা ক্রমশ বাড়বে।

** ঝড় শুরু হবে ২৪ মে সন্ধে থেকে। প্রথমে ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ২৫ মে ঝড়ের গতি হবে পারে ৫০-৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। আর ২৬ মে সকালের দিকে ৬০-৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা ও বিকেলের পর তা একশো কিলোমিটারের কাছাকাছি চলে যেতে পারে।

** মত্সজীবীদের ২৩ তারিখের পর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

** মোটকথা ২৬ মে রাজ্যে আছড়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড় যশ। তা ঠিক কোথায় ল্যান্ড ফল করবে তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন-International Day for BioDiversity:জীববৈচিত্র্য রক্ষা করুন, সেখানেই লুকিয়ে সমস্ত মুশকিল আসান  

ত্রাণ ও উদ্ধারে কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য

আমপানের অভিজ্ঞতা নিয়ে উপকূলবর্তী এলাকা ছাড়াও কলকাতায় ত্রাণ ও উদ্ধারের জন্য ২০টি বিপর্যয় মোকাবিলা টিম তৈরি করা হয়েছে। তাদের কাছে থাকছে গাছ কাটার অত্যাধুনিক যন্ত্র। সতর্ক করা হয়েছে রিভার ট্রাফিককেও। কলকাতার বেশকিছু বিপজ্জনক বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের বের করে অন্যত্র রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে। গতবার আমপানের সময়ে ৪-৫ দিন কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুত্ ছিল না। তা যাতে না হয় তাও নজর রাখা হচ্ছে। নবান্নের পাশে উপান্নে তৈরি হয়েছে ঝড় মনিটারিং কন্ট্রোল রুম। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে থাকবেন। বহু সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তিনটি শিফটে কাজ করবেন কলকাতা পুরসভা কর্মীরা। 

যেসব জায়গায় NDRF টিম মোতায়েন করা হয়েছে

হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, গোসাবা, কাকদ্বীপ, সাগর, দীঘা-২,রামনগর, কাঁথি, ডায়মন্ডহারবার, কলকাতা ও হাওড়া।

.