নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপট কমে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে সামনে আসছে ক্ষয়ক্ষতির ছবি। মুখ্যমন্ত্রী আজ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে রাজ্যের ১ কোটি মানুষ এফেক্টেড। ক্ষতিগ্রস্থ ৩ লাখ বাড়ি। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন সুত্রে খবর সেখানে ১,০৬৭ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-Yaas আতঙ্কে হার্ট অ্যাটাক! বাঁকুড়ায় ত্রাণশিবিরের মৃত্যু বৃদ্ধের  


ঝড়ের পূর্বাভাসের কথা মাথায় রেখে সোমবার থেকেই একের পর এক ত্রাণ শিবির খুলতে শুরু করে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। ইয়াস(Yaas)-এর সর্বাধিক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা ছিল দক্ষিণ বাঁকুড়ার সারেঙ্গা, রানীবাঁধ, রাইপুর, খাতড়া ও হীড়বাঁধ-সহ জঙ্গলমহলের ব্লকগুলিতে। এই ব্লক গুলিতেই কাঁচা বাড়ির সংখ্যা বেশি থাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। সেকথা মাথায় রেখে প্রায় প্রতিটি গ্রামেই ত্রাণ শিবির খোলা হয়।


বুধবার দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাঁকুড়া(Bankura) জেলাতে মোট ১০৬৭ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এই ত্রাণ শিবিরগুলিতে বিকেল চারটা পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছেন ৯২ হাজারেরও বেশি মানুষ। প্রতিটি ত্রাণ শিবিরেই সরকারি ব্যবস্থাপনায় দূর্গত মানুষদের তিন বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন রানীবাঁধ ব্লকের বিভিন্ন ত্রাণ শিবির ঘুরে ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন খাদ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। বাঁকুড়া শহরের ত্রাণ শিবিরগুলি ঘুরে দেখেন পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্যরাও।


আরও পড়ুন- Yaas Update: বাংলায় ক্ষতিগ্রস্ত ১ কোটি মানুষ, শুক্রবার দুর্গত এলাকায় যাবেন মুখ্যমন্ত্রী  


এদিকে, এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ইয়সের জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জেলার মোট ৮২টি কাঁচা বাড়ি। ঝড়ে গাছ পড়ে এদিন রানীবাঁধ-ঝিলিমিলি রাজ্য সড়কে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে যান চলাচল। ইন্দাসেও একাধিক রাস্তায় বড় গাছ পড়ে যান চলাচল প্রাথমিক ভাবে ব্যাহত হয়। বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীদের তৎপরতায় দ্রুত সেই গাছ সরিয়ে দেওয়া হলে ফের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।